কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহার বহুবছর আগেই। ইউরোপে সেই প্রযুক্তির সহায়তায় এখন আর ট্র্যাক্টরে নিয়ে ক্ষেতে নামে না মানুষ। পরিবর্তে ক্ষেতে ট্র্যাক্টর চালাচ্ছে রোবট। আর জমির মালিকের হাতে থাকছে রিমোট। সেই রিমোটে রোবট পরিচালন পদ্ধতি ছাড়াও ঢোকানো রয়েছে কৃষির হার্ডওয়্যার। চাষ কীভাবে হবে, ফলন হলে সেটা কীভাবে ক্ষেত থেকে তোলা হবে, সমস্ত কাজ কৃষির হার্ডওয়্যার জানিয়ে দিচ্ছে জমির মালিককে। কিন্তু কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টে চাষী ও জমির মালিকদের মধ্যে তৈরি হল আতঙ্ক। হ্যাকাররা কৃষির হার্ডওয়্যারও হ্যাকিং করছে! গবেষকদের দেওয়া রিপোর্ট জানাচ্ছে চাষের কাজে যারা আর্টফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের সহায়তা নিচ্ছেন, এগ্রিকালচারাল রোবট ব্যবহার করছেন কাজে কর্মীসংখ্যা কমিয়ে তাদের কাছে এই হ্যাকিং যে কোনও মূহুর্তে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। লন্ডনের এরকম একজন কৃষক জন ডিরি। তার নিজস্ব জমি রয়েছে এবং তিনি কৃষিকাজ করেন হার্ডওয়্যারের সহায়তায়। সংবাদপত্রকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে কোনও হ্যাকার আমার রোবট ও অন্যান্য মেশিনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। সর্বনাশ করে দিতে পারে আমার চাষের কাজে।” ইংল্যান্ডের সরকার এবং গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-ও এই বিষয়ে নজরদারি শুরু করেছে। জমির মালিকদেরও সতর্কও করা হচ্ছে।