চিকিৎসক ওরাংওটাং

চিকিৎসক ওরাংওটাং

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১২ মে, ২০২৪

বিবর্তনের পথ বেয়ে আমরা মানুষ হয়েছি। এই পথচলায় আমাদের কিছু খুব কাছের পূর্বসুরি ছিল যেমন শিম্প্যাঞ্জি, গরিলা, ওরাংওটাং। আমাদের ধারণা যে, সব থেকে উন্নত বুদ্ধি যা মানুষ প্রয়োগ করে নিজেকে ভালো রাখতে, তা শুধু মানুষেরই আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল যে আমাদের বিবর্তনতুতো ভাই ওরাংওটাং খুনসুটি করতে পারে নিজেদের মধ্যে, পারে হাসিঠাট্টা করতে। এমনকি জটিল ‘ধাঁধা’-এর সমাধানও করতে পারে, মানুষেরই মতো। কিন্তু তাই বলে বনৌষধি ব্যবহার করে নিজেদের শরীর ভালো রাখার মতো বুদ্ধিদীপ্ত কাজ?
হ্যাঁ, “সায়েন্টিফিক রিপোর্ট”’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে জার্মানির “ম্যাক্সপ্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিম্যাল বিহেভিয়ার”-এর প্রাইমেটোলজিস্ট ইসাবেল লমার এবং তার সহকর্মীরা বিবরণ দিয়েছেন কিভাবে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় ওরাংওটাং ঘা সারানোর জন্য হলুদ গাছের থেকে মূল তুলে এনে ঘষতে থাকে। খেয়েও নেয় কিছুটা। নিবিড় পর্যবেক্ষণে তারা দেখতে পান কয়েকদিন বাদে ঐ ঘায়ের জায়গাটা ভালো হয়ে গেছে। ক্ষতস্থান সারানোর জন্য এভাবে নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করে বনের গাছপালার প্রয়োগ এটাই প্রমান করে যে আমাদের পূর্বসূরীরা আমাদের থেকে কম বুদ্ধি ধরতেন না। অবশ্যই তারা চাঁদে যেতে পারেন নি। মানুষই তাদের অন্য গ্রহে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine + 20 =