পৃথিবীর ওপর নজরদারি করার জন্য সৌরকক্ষে পৌঁছে গেল চিনের ২৪ নম্বর উপগ্রহ! ২০১০ সালে চিনের এই প্রোজেক্ট শুরু হয়েছিল, যার নাম গাওফেন-সিরিজ। এই উপগ্রহের কাজ কী হবে? পরিবেশ রক্ষার্থে যাবতীয় তথ্য জানানো আর তার সঙ্গে নানারকমের খনিজ দ্রব্যের সন্ধানে নজরদারি রাখা। উপগ্রহটিকে তাইইউয়ান উপগ্রহ সেন্টার থেকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। পৃথিবীর চারপাশে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে এই উপগ্রহ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে।
এই মহাকাশযানে কী রেখেছে চিন? রয়েছে সাতটা ইমেজার্স এবং সেন্সর। এই ইমেজার্স আর সেন্সরের সহায়তায় অনেক দূরত্বের, বিভিন্নরকমের রঙের ছবি, এমনকী তেজস্ক্রিয় পদার্থ সম্পর্কেও সমস্তরকমের তথ্য জানাতে পারবে। চিনের ন্যাশনাল স্পেস এজেন্সির তরফে জানানো হয়েছে, গাওফেন সিরিজের এই উপগ্রহ দেশের পরিবেশ রক্ষার কাজে নিখুঁতভাবে সহায়তা করতে পারবে। একইসঙ্গে, দুর্যোগ প্রতিরোধ, আবহাওয়া পরিবর্তন সম্পর্কেও আগে থেকে জানান দিতে পারবে এই উপগ্রহ।
স্পেস এজেন্সির তরফে আরও জানানো হয়েছে, গাওফেন সিরিজের অন্তর্ভুক্ত উপগ্রহগুলি এখনও পর্যন্ত দেশের অনেক কাজে লেগেছে। সে দেশের অন্তত ২০টি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের বিকাশে গাওফেন সিরিজের অন্তর্ভুক্ত উপগ্রহগুলির পাঠানো ছবি ও তথ্য উপকারে লেগেছে। চলতি বছর চিনের পরিকল্পনা, গাওফেন সিরিজের অধীনে মোট ৪০টি উপগ্রহ পাঠানো। পৃথিবীর মত, মহাকাশেও রাশিয়া আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ভাঙ্গার চেষ্টায় বহুবছর ধরে ব্যস্ত চিন! সেই কারণেই হয়ত, এবছর জুলাইয়ে দেখা গিয়েছে, চারদিনের মধ্যে মহাকাশের তিনটি কক্ষে উপগ্রহ পাঠিয়েছিল সে দেশ। এছাড়াও চাঁদে মানুষ পাঠানো, মহাকাশে আন্তর্জাতিক স্টেশন তৈরি করা- সব মিলিয়ে মহাকাশেও অপ্রতিরোধ্য হতে চাইছে চিন!