জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু

জনপ্রিয় ফাস্ট ফুড থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

ম্যাকডোনাল্ডের কোয়ার্টার পাউন্ড হ্যামবার্গার খাওয়ার পরে বহু লোক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন গতকাল জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমের ১০টা রাজ্যের প্রচুর মানুষ এখানকার খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৪৯ জন ব্যক্তি কলরাডো ও নেব্রাস্কার। এরা ই. কোলাই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। যাদের মধ্যে ১ জন শিশুও রয়েছে, যে হিমোলাইটিক ইউরেমিক সিন্ড্রোমের শিকার। এতে কিডনির রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে শরীরে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। কলরাডোতে একজন বয়স্ক মানুষের মৃত্যুও হয়েছে বলে এজেন্সি জানিয়েছে।
সমস্ত অসুস্থ মানুষের শরীরে ই. কোলাই-এর একই স্ট্রেন পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়ার আগে তারা ম্যাকডোনাল্ডের খাবার খেয়েছেন। কেউ কেউ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা সেখানে কোয়ার্টার পাউন্ডার খেয়েছিলেন। অনুসন্ধানকারীরা এখনও অসুস্থতা ঘটানোর জন্য কোন উপাদান দায়ী তা খুঁজে বের করতে পারেননি। তবে তারা কাটা পেঁয়াজ ও বিফ প্যাটিস খতিয়ে দেখছেন। এই দুটোই রেস্টুরেন্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই সংক্রমণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ম্যাকডোনাল্ড ফাস্ট ফুড চেনের বাণিজ্য ৬%-এরও বেশি কমে গেছে। ভিডিও বার্তায় ম্যাকডোনাল্ডস ইউএসএ-এর প্রেসিডেন্ট জো এর্লিংগার বলেন, তার এবং ম্যাকডোনাল্ডসের প্রত্যেকের কাছে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা যে রাজ্যগুলোতে অসুস্থতা দেখা গেছে সেখান থেকে কোয়ার্টার পাউন্ডারে ব্যবহৃত কাটা পেঁয়াজ সরিয়ে নিয়েছেন। এমনকি সেখানকার রেস্তোঁরাগুলো থেকে অস্থায়ীভাবে কোয়ার্টার পাউন্ডার সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ রাজ্যে এই সংক্রমণ হানা দেয়নি। আক্রান্ত রাজ্যগুলোয় গরুর মাংসের অন্যান্য মেনুর আইটেম পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এজেন্সি সতর্ক করেছে যারা কোয়ার্টার পাউন্ডার খেয়েছে এবং ই. কোলাই বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা গেছে, যেমন ডায়রিয়া, ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, বমি তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। খাওয়ার ৩ থেকে চারদিন পরে ই. কোলাই বিষক্রিয়ার লক্ষণ দেখা গেছে। বেশিরভাগ ব্যক্তি পাঁচ সাতদিনে সুস্থ হয়ে উঠছে। কিছু ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি হতে পারে যাতে হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার পড়তে পারে।