ভয়ঙ্কর জলের সঙ্কট। ১২ লক্ষ মানুষ জলের অভাবে মরে যেতে পারে! ইরাক আর সিরিয়ায়। মূল কারণ আবহাওয়ার দ্রুত পরিবর্তন। ১৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই অঞ্চলে অনেক বছর ধরে কাজ করে চলেছে। তাদের গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, দু’টো দেশেই উষ্ণায়ন দ্রুত বাড়ছে এবং বৃষ্টির পরিমাণ সম্প্রতি এত কম যে, সেটা রেকর্ডের খাতায় জায়গা করে নিতে পারে। যার জন্য পানীয় জলের পরিমাণ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আগামীদিনে, স্বাস্থ্য পরিষেবার মত জরুরী ব্যবস্থাও ভেঙে পড়তে পারে। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাও প্রয়োজনীয় জলের অভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে, জলাধারগুলোয় জল ক্রমশ কমে যাচ্ছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সিরিয়ায় ৫ লক্ষ মানুষ সরাসরি নির্ভরশীল নদী থেকে সরবরাহ হওয়া জলের ওপর। ইরাকে সরাসরি নদীর জলের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ। তাদের ছাড়াও ৪০০ বর্গ কিলোমিটারের বেশি কৃষিভূমি জলের অভাবে খরার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে। উত্তর সিরিয়ায় দু’টো বাঁধের জলের ওপর নির্ভর করেন সেখানকার প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ। জলের অভাবে দু’টো বাঁধই যে কোনওদিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তার প্রতিফলন? তিন লক্ষ মানুষ হারাতে পারে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং কৃষির জল। ১৩টি সংস্থার একটি সংস্থার ডিরেক্টর কারস্টেন হ্যানসেন বলেছেন, “হাজার হাজার ইরাকি ইতিমধ্যে সিরিয়া ছাড়ছে যুদ্ধবিগ্রহের ধাক্কায়। তার ওপর এবার কিন্তু জলের অভাব তৈরি করতে চলেছে নজিরবিহীন এক সমস্যা!