জলুন্তে পিঁপড়েতে ছেয়ে গেছে হাওয়াই দ্বীপ

জলুন্তে পিঁপড়েতে ছেয়ে গেছে হাওয়াই দ্বীপ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৪ নভেম্বর, ২০২২

প্রথম এই ক্ষতিকারক প্রজাতি ধরা পড়ে ১৯৯৯ সালে। এবার লক্ষ লক্ষ ফায়ার অ্যান্ট বা জলুন্তে পিঁপড়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত কাউয়াই। সারা দ্বীপ জুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এই পিঁপড়ে। প্রশাসনের তরফ থেকে প্রায় প্রতিদিনই সাবধান করা হচ্ছে নাগরিকদের।
পিঁপড়ের এই ভয়াবহ বিস্তারে ক্ষতি কিন্তু অনেকরকমের। পোষ্য প্রাণীদের বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষিক্ষেত্রে এবং কৃষিজাত শিল্পক্ষেত্রে ভয় রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা আর পর্যটকদের জন্যেও অস্বস্তির কারণ ঘটছে।
হাওয়াই অ্যান্ট ল্যাবের গবেষক হিথার ফরেস্টার বলছেন, হাওয়াইয়ে মানুষের জীবনযাত্রা একেবারে পর্যুদস্ত হয়ে গেছে জলুন্তে পিঁপড়ের আক্রমণে। এমনকি অনেকক্ষেত্রে জীবনের ধারা পাল্টেও যাচ্ছে। টিলায় ওঠা বা সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার মতো স্বাভাবিক কাজেও বাধা তৈরি হচ্ছে। যেখানে খুশি যখন খুশি ঝাঁকে ঝাঁকে পিঁপড়ের দল নেমে এসে কামড়াতে শুরু করছে। এমনকি রাতে ঘুমনোর সময় পিঁপড়ে কামড়ানোর ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে।
জলুন্তে পিঁপড়ের কামড়ে লাল লাল চাকা চাকা দাগ হয়ে যায় চামড়ায়। জ্বালা করে আর চুলকোয়। এমনকি কোনও কোনও সময় পুঞ্জ-ভর্তি ছোট মাংসপিণ্ড তৈরি হয়ে পারে কামড়ের জায়গায়। দাগ থেকে যায় কয়েক সপ্তাহ। এমনই বলছে কাউয়াই ইনভেসিভ স্পেসিস কমিটি।
কমিটির তদন্তে দেখা গেছে, কোনও ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকেই (খামারবাড়ি) হঠাৎ করে কাউয়াইতে এই ফায়ার অ্যান্টের প্রাদুর্ভাব। অয়াইলুয়া নদীর ধারে উপত্যকা ধরে তারপর ছড়িয়ে পড়ে এই পিঁপড়েরা। যদিও কমিটি কিছুদিনের মধ্যেই পিঁপড়ের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে পারবে, এমনই বলছেন হাইলিন চোক।
কিন্তু হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের হাওয়াই, মাউই, ওয়াহু আর কাউয়াই এই চারটে দ্বীপে আলাদা মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে পিঁপড়েরা। ফরেস্টার জানিয়েছেন এমনটাই।