টুথপেস্ট কথা

টুথপেস্ট কথা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২১ মে, ২০২২

আধুনিক জীবনে যে রোজকার অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয় তার একটি হলো ব্রাশ করা। তার জন্যে আছে হরেক রকমের টুথপেস্ট। ইতিহাসবিদেরা বলেন পৃথিবীতে প্রথম টুথপেস্ট ব্যবহার করা হয়েছিল মোটামুটি সাত হাজার বছর আগে। ভারতবর্ষ, চীন, মিশর – এই ভূখণ্ডগুলিতেই মূলত প্রথম টুথপেস্টের প্রচলন ঘটে। বেশিরভাগ টুথপেস্টেই কিছু সাধারণ রাসায়নিক উপাদান থাকে। টুথপেস্টের সাধারণ উপাদান গুলি আসলে স্বাদ, গন্ধ, সংরক্ষক হিসেবে কাজ করে। এর বাইরে আরো কিছু উপাদান থাকে, যেগুলি মুখের জন্য ভালো। কীভাবে কাজ করে সেসব উপাদান? আর কীই বা সেসব উপাদান?
সোডিয়াম ফ্লুরাইড- অনেকের ধারণা সোডিয়াম ফ্লুরাইড আমাদের জন্যে ক্ষতিকর। কিন্তু টুথপেস্টে খুবই সামান্য পরিমাণ সোডিয়াম ফ্লুরাইড থাকে যা আমাদের ক্ষতির কারণ নয়। বরং দাঁত শক্তিশালী করতে সাহায্য করে সোডিয়াম ফ্লুরাইড।
সোডিয়াম লরেল সালফেট- এটি আসলে একরকমের ডিটারজেন্ট। এর জন্যেই ব্রাশ করার ফলে মুখের মধ্যে ফেনা উৎপন্ন হয়। ব্রাশ করার পর যদি কমলার রস খাওয়া যায়,তাহলে তা খুবই স্বাদপূর্ণ হতে পারে, যার কারণ এই সোডিয়াম লরেল সালফেট।
হ্যাইড্রেটেড সিলিকা- এই উপাদান পোশাকের দাগ তুলতে পারে। টুথপেস্টে এই উপাদানের ভূমিকা এই যে, খাওয়ার পরে দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে খাবারের যে টুকরো লেগে থাকে, তা অপসারণের কাজ করা। অনেক টুথপেস্টে হ্যাইড্রেটেড সিলিকার পরিবর্তে কার্বোনেট, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট, বা অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডও থাকতে পারে। এগুলিও হ্যাইড্রেটেড সিলিকার নতো কাজ করে।
ট্রাইক্লোসান- এটি একটি ব্যাকটেরিয়ারোধী রাসায়নিক উপাদান। ট্রাইক্লোসান দাঁতের মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে মুশকিল হলো ট্রাইক্লোসানকে অপসারণ করা কঠিন। জলে মিশে জলজ প্রাণীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে ট্রাইক্লোসান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − nine =