টোঙ্গার সর্বনাশে কাদের পৌষমাস?

টোঙ্গার সর্বনাশে কাদের পৌষমাস?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ অক্টোবর, ২০২২

চলতি বছর জানুয়ারি মাসে টোঙ্গায় সমুদ্রের নিচে শতাব্দীর সবচেয়ে বড়ো অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। জলের তলায় সেই বিস্ফোরণের আঁচ পৌঁছেছিল অনেক দূর আকাশ অবধি। কিন্তু তাতে নাকি লাভের লাভ হয়েছে একটামাত্র প্রজাতির জীবের।
সম্প্রতি হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয় আর ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটির যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে আজব তথ্য। দেখা যাচ্ছে বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাওয়াইয়ের ও’আহু দ্বীপের ৪০গুন আয়তনের জীববসতি জেগে উঠেছে সমুদ্রের মাঝখানে। আণবিক ঐ জীবের নাম ফাইটোপ্ল্যাক্টন। সামুদ্রিক খাদ্যশৃঙ্খলের একেবারে নীচে থাকা এই অণুজীব সালোকসংশ্লেষ করতে পারে আর এভাবেই অক্সিজেনের জোগান দেয়।
মুখ্য গবেষক বেনেদেত্তো ব্যারন বলছেন, টোঙ্গা বিস্ফোরণে তৈরি হওয়া রাশি রাশি ছাই থেকেই এই জীব প্রয়োজনীয় রসদ পেয়েছে। ফলে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি হারে বংশবৃদ্ধি হয়েছে এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবের। আরেক গবেষক ডেভ কার্ল জানালেন, অগ্ন্যুৎপাতের পর এতও দ্রুত ঐ অঞ্চলে ক্লোরোফিলের বাড়বাড়ন্ত নিশ্চিতভাবেই অবাক করার মতো। বোঝাই যাচ্ছে, বাস্তুতন্ত্র কতও তাড়াতাড়ি নিজেকে সারিয়ে তুলতে পারে এতও বড়ো একটা প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার পরেও।