ডিএনএ এবং আরএনএ, পৃথিবীতে প্রাণের মূল রসদ বলা চলে। সেই জৈব রসদের গঠনগত উপাদান হিসেবে ক্ষারের ভূমিকা অনেকটাই। এবার সেই ক্ষারের সন্ধান মিলল উল্কার ভেতরে।
ডিএনএ/আরএনএ-র মধ্যে বংশগতির তথ্য যে পাঁচটা ক্ষারের ভেতর জমা হয়, সেই খারগুলোর মধ্যে সবকটাই খুঁজে পাওয়া গেছে গত শতাব্দীতে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া উল্কাখণ্ডের মধ্যেও। বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে একটা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশান পত্রিকায়।
এই ক্ষারগুলোর পোশাকি নাম নিউক্লিওবেসেস। অ্যাডিনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন, থাইমিন আর ইউরাসিল। শর্করা আর ফরফরাসের সাথে যুক্ত হয়ে এইসব ক্ষার প্রাণ সৃষ্টির জন্যে জেনেটিক কোড তৈরি করে থাকে। এগুলো কি বহির্বিশ্ব থেকে পৃথিবীর মাটিতে এসেছে নাকি পৃথিবীর প্রাথমিক রাসায়নিকের গরম মিশ্রণের মধ্যেই এগুলো সৃষ্টি হয়েছিল, সেটা এখনও জানা নেই গবেষকদের। কিন্তু বিজ্ঞানীদের অনুমান প্রাণসৃষ্টির একেবারেই প্রাথমিক উপাদান হয়তো মহাকাশ থেকেই এসেছে পৃথিবীর মাটিতে।
অ্যামেরিকার গ্লেনবেল্টে নাসার গোডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের অ্যাস্ট্রোকেমিস্ট ড্যানিয়েল গ্লেভিন বলছেন, ডিএনএ/আরএনএ-র মধ্যে সবকটা ক্ষারের উপস্থিতির প্রমাণ উল্কার ভেতরেও মিলেছে। কিছুদিন আগে উল্কাখণ্ড থেকে অতিসাবধানে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানকে পৃথক করার বিশেষ পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূরাসায়নবিদ ইয়াসুহিরো ওবা।