ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে রাত জাগার স্বভাব

ডিমেনশিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে রাত জাগার স্বভাব

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২২ জানুয়ারী, ২০২৩

ডিমেনশিয়া, ভুলে যাওয়ার ব্যামো। জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময় আমরা ঘুমিয়ে কাটাই। সেই ঘুমের এক চতুর্থাংশ কাটে স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ, প্রত্যাশিত আয়ু যদি হয় ৭৩ তাহলে মোট ছ বছর আমরা স্বপ্ন দেখে খরচ করি। কিন্তু স্বপ্নের কারণ কী বা কোন উপায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে তা বিজ্ঞানীদের এখনও স্পষ্টভাবে জানা নেই। এমনকি আমাদের মগজের স্বাস্থ্যের জন্যে স্বপ্নের ভূমিকা কেমন, সে নিয়েও গবেষকরা অন্ধকারে।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী আবিদেমি ওটাইকু সম্প্রতি এক নিগুঢ় পরীক্ষা চালিয়েছেন ডিমেনশিয়া আর ঘুমের সম্পর্ক নিয়ে। খারাপ স্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে উঠে পড়ার সাথে বেশ গভীর যোগাযোগ আছে ভুলে যাওয়ার ব্যামোর। অ্যামেরিকার তিনটে বড়ো গবেষণা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন প্রোফেসর আবিদেমি। ৩৫ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে ৬০০ মানুষের আর ৭৯ বছর বা তার বেশি বয়সী ২৬০০ জন মানুষের উপর করা সমীক্ষার ফলাফল ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষণার আরম্ভে ঐ মানুষদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার সমস্যা ছিল না। তারপর গড়ে নয় বছর ধরে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বারবার হতে থাকা দুঃস্বপ্নের রোগ যদিও সারানো সম্ভব, এটাই আশার কথা। এর আগেই আলঝাইমার্স রোগের সাথে খারাপ স্বপ্নের সরাসরি সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
আবিদেমি আশাবাদী। এই গবেষণার ফলে ডিমেনশিয়ার চিকিৎসা অনেক আগে থেকেই শুরু করা যাবে। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল এই যে স্বপ্নের মতো রহস্যময় ঘটনার প্রকৃতি আর কার্যকলাপ সম্বন্ধে আরও কিছুটা জানা যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 + nine =