ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির খামখেয়ালি চিন্তায় ফেলছে বিজ্ঞানীদের

ডুবন্ত আগ্নেয়গিরির খামখেয়ালি চিন্তায় ফেলছে বিজ্ঞানীদের

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

গত বছরেই শুরুতেই, ১৫ই জানুয়ারি খবরের কাগজের পাতায় প্রথম ভেসে ওঠে টোঙ্গা অগ্ন্যুৎপাতের ভয়ঙ্কর ছবি। চমকে উঠেছিল গোটা বিশ্ব। সমুদ্রের জলের কয়েকশো মিটার গভীরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ থেকেই এর উৎপত্তি। এই ধরণের অগ্ন্যুৎপাত কি প্রথম? পৃথিবী জুড়ে অন্যসব ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি কি একইভাবে ভয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে?
ভূতাত্ত্বিকরা বলছে দুটো প্রশ্নের উত্তরই হ্যাঁ। প্রশান্ত মহাসাগরের ঐ অঞ্চলটায় মুক্তোর মালার মতো পরপর অবস্থান করছে সমুদ্রের বুকে ডুবন্ত আগ্নেয় পর্বত। এটাকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা বলা হয়, ইংরেজিতে ‘প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার’। এই অগ্নিচক্রের আরও ২০টা আগ্নেয়গিরির মধ্যে টোঙ্গা একটা।
শুধু তা’ই নয়। এই রিং বরাবর মাটির উপরেও একাধিক সুপ্ত এবং জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে। অ্যামেরিকার মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স কিংবা জাপানের মাউন্ট ফুজি, অথবা ইন্দোনেশিয়ার গুনুং মেরাপি। কিন্তু সমুদ্রের অনেকটা গভীরে থাকা আগ্নেয় পর্বত সম্পর্কে এতও সহজে স্বচ্ছ তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এগুলোকে নিয়ে আগাম সতর্কতার দরকার।
কাজটা সময়সাপেক্ষ, কঠিন। সবচেয়ে বড়ো কথা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষও বটে। কিন্তু চোখের সামনে নেই বলেই যে এইসব ডুবন্ত আগ্নেয়গিরি নিয়ে উদাসীন থাকা যাবে এমনটা নয়। ইতিমধ্যেই ভূমধ্যসাগরের নিচে একই রকমের ডুবন্ত আগ্নেয় পর্বতের মধ্যে ম্যাগমার ভয়ানক সক্রিয়তার খবর মিলেছে। তাই প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার নিয়েও চিন্তায় আছেন বিজ্ঞানীরা।