ডেঙ্গি রুখতে নির্দেশই সার! কাজ হচ্ছে না

ডেঙ্গি রুখতে নির্দেশই সার! কাজ হচ্ছে না

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ১৪ আগষ্ট, ২০২২

ডেঙ্গি রুখতে জঙ্গল সাফ করা, ফাঁকা জমির মালিককে নোটিস ধরানো, খাটালের মালিককে সতর্ক করা-সহ একাধিক পদক্ষেপ করেছিল বিধাননগর পুরসভা। কিন্তু নির্দেশই সার, কাজ কিছু হয়নি, হচ্ছেও না। একটি ফাঁকা জমিতে জমছে আবর্জনার স্তূপ। অন্যটি ভরেছে ঝোপজঙ্গলে। বছর ঘুরলেও পাড়ায় একই ভাবে রয়ে গিয়েছে খাটালের ব্যবসা। আবর্জনার স্তূপে জল জমে মশা জন্মানোর আঁতুড়ঘরও তৈরি।
গতবছর নভেম্বরে বিধাননগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শচীন্দ্রলাল সরণির এই পাড়াতেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৩৪ বছরের শতাব্দী সাহার। তার পরে মশা এবং জল জমা ঠেকাতে নড়েচড়ে বসেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বছর ঘোরার আগেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, পরিস্থিতি কিচ্ছু বদলায়নি!
সম্প্রতি শতাব্দীর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল, বাড়ির পিছনের ফাঁকা জমিটি আস্তাকুঁড়ে পরিণত। প্লাস্টিকের কাপ, ডাবের খোলা, ভাঁড় থেকে শৌচাগারের ভাঙা জিনিস— কিছুই বাদ নেই। শতাব্দীর স্বামী সঞ্জীব সাহার কথায়, “ওই জমি পরিষ্কার করা নিয়ে আমি বহু বার বলেছিলাম। তখন বড় জঙ্গল ছিল। ডেঙ্গিতে স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে জঙ্গল কাটানো হয়। এখন পুরো এলাকার আবর্জনা ওখানে ফেলা হয়। ফলে আশপাশের এলাকায় দিনেও মশার কামড় খেতে হয়।” বিধাননগরের কেষ্টপুর, অর্জুনপুর, দেশবন্ধুনগরের মতো জায়গা থেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ডেঙ্গি-মোকাবিলায় সম্প্রতি প্রতিটি ওয়ার্ডে গাপ্পি মাছ ছেড়েছে বিধাননগর পুরসভা।