কোভিডের ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট যে আগের আলফা ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক সেটা বিজ্ঞানীরা, চিকিৎসকরা অনেকবার বলেছেন। কিন্তু, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ (পিএইচই) বিভাগের সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে বর্তমানে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হলে তাঁর হাতে কিন্তু সময় থাকবে না! গতবছরের কোভিড-১৯-এ কেউ আক্রান্ত হলে তাঁকে চিকিৎসকরা চার পাঁচদিন সময় দিয়েছেন। শরীরে করোনা ভাইরাসের কোনও লক্ষণ দেখা দিচ্ছে কি না সেটা দেখে তারপর পরীক্ষা করতে বলতেন। কিন্তু করোনা নিয়ে কেমব্রিজের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, এখন কোভিডে আক্রান্ত হওয়া মানেই ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের প্রবেশ হওয়া আর সেটা হলে রোগীর কিন্তু হাতে সময় থাকবে না মোটেই। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। মানুষের শরীরে ঢুকে তাঁর ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট আগের আলফা ভ্যারিয়ান্টের চেয়ে অনেক দ্রুত করতে পারে বলে কেমব্রিজ জানাচ্ছে। এর মধ্যে অবশ্য একটা ‘যদি’ আছে। রোগী যদি টীকার দু’টি ডোজই নিয়ে নেন এবং তারপর কোভিডে আক্রান্ত হন তাহলে তাঁর হাতে সময় থাকবে। তিনি চিকিৎসককে দেখিয়ে তাঁর পরামর্শমত দু’দিন পরও হাসপাতালে ভর্তি পারেন (যদি দরকার হয়)। কিন্তু রোগীর যদি একটা ডোজ নেওয়া থাকে তাহলেও তার শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট ঢুকে পড়লে সেই রোগীকে হাসপাতালে যেতে দেরি করলে চলবে না! ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের আবিষ্কার ভারতে হলেও মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ইংল্যন্ডে এই ভাইরাস ভীষণভাবে আগ্রাসী হয়েছে। ৪৩,৩৩৮ জন করোনার রোগীর মধ্যে সার্ভে করেছিল সে দেশের জনস্বাস্থ্যমন্ত্রক। রোগীদের মধ্যে আলফা এবং ডেল্টা, দু’রকমের ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীই ছিলেন। জানা গিয়েছে, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত রোগীদের অনেক দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। ইংল্যান্ডে মোট জনসংখ্যার ৮৮ শতাংশ নাগরিকের টীকার প্রথম ডোজ নেওয়া হয়েছে। আর ৭৮ শতাংশ নাগরিক পেয়েছেন টীকার দ্বিতীয় ডোজ।