ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট দাদের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে

ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট দাদের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ মে, ২০২৩

সেণ্টার ফর ডিসিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান – এ প্রকাশিত একটা কেস স্টাডি অনু্যায়ী, নিউ ইয়র্কের একটা ক্লিনিকে দুজন রোগী পাওয়া গেছে, যারা মারাত্মকভাবে দাদের শিকার। সাধারণ বহুল ব্যবহৃত ছত্রাকনাশক ওষুধ তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু কাজ করছে না। দাদ এক ধরনের চর্ম রোগ, যা নখের নীচে দিয়ে বা চামড়ার মধ্যে দিয়ে নিজেকে বিস্তার করে ফলে চামড়ার ওপরে লাল হয়ে, চুলকানি সৃষ্টি করে। মাঝে মাঝে চারদিকে গোল হয়ে ঘিরে লাল হয়ে থাকে, আর মধ্যের অংশে খানিকটা পরিষ্কার চামড়া দেখা যায়।
২০২১ র গরমের সময় আমেরিকাতে একজন আর ২০২২ র গরমকালে বাংলাদেশে আরো একজন দাদের রোগী সনাক্ত করা গেছে, যারা ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট দাদের শিকার। পৃথিবীর দুপ্রান্তে, দুবছরে একই ধরনের রোগ ড্রাগ রেসিস্ট্যান্ট দাদের প্রদুর্ভাব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। দাদ হানিকারক না হলেও, এর সংক্রমণে চুলকানি, শারীরিক অস্বস্তি বোধ হয়, এর থেকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে আরো যন্ত্রণাদায়ক ঘা হতে পারে ।
নিউ ইয়র্কের রোগীর ক্ষেত্রে প্রথমে ভাবা হয়েছিল, ট্রাইকোফাইটন মেন্টাগ্রোফাইটস, দাদের খুব সাধারণ প্রজাতি যা পোষ্য কুকুর, বিড়াল থেকে হয়, তা এই ব্যক্তির রোগের জন্য দায়ী; কিন্তু মাইক্রোবসের জিন পরীক্ষা করে দেখা গেছে বেশ নতুন এক প্রজাতি, ট্রাইকোফাইটন ইন্ডোটিনি থেকে এটা হয়েছে।
এই দু ধরনের ছত্রাক বেশ কাছাকাছি গোত্রের হলেও, টারবিনাফাইন নামে ছত্রাকনাশক যে এনজাইমকে ধ্বংস করে ট্রাইকোফাইটন ইন্ডোটিনি- র সেই এনজাইমের জন্য দায়ী জিনে মিউটেশন হয়, ফলে এই ছত্রাকনাশক আর কাজ করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 10 =