তরুণদের অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকির মুখ্য কারণ – ডায়েট

তরুণদের অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকির মুখ্য কারণ – ডায়েট

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ আগষ্ট, ২০২৪

ক্যানসার নিয়ে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে সচেতন করা হয়। যত তাড়াতাড়ি এই মারণব্যাধি ধরা পড়ে, রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা ত্ত বেশি থাকে। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের গবেষণায় রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংসের সাথে যুক্ত খাদ্য থেকে প্রাপ্ত অণু বা বিপাকীয় পদার্থ কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এনপিজে প্রিসিশন অনকোলজি রিপোর্ট বিপাকীয় পদার্থ ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে ষাট বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ করার একটা উপায় হল ডাক্তারের সাথে তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা। গবেষকরা দেখেছেন, তরুণ কোলোন ক্যানসার রোগীদের আর্জিনিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড বিপাকে ও ইউরিয়া চক্রে বেশি বিপাকীয় পদার্থ তৈরি হয়। দীর্ঘকাল যাবত রেড মিট ও প্রক্রিয়াজাত মাংস খেলে এটা হতে পারে।

পর্যবেক্ষণ এবং স্ক্রীনিং কোলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধের সহায়ক হাতিয়ার। এই সব পদ্ধতির সাফল্য সত্ত্বেও, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অনকোলজিস্ট সুনীল কামাথ বলেছেন, চিকিত্সকরা তাদের কম বয়স্ক রোগীদের সাথে ডায়েট নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, যা অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ষাটোর্ধ বা প্রাপ্তবয়স্ক সমস্ত ব্যক্তিদের বছরে একবার কোলোনোস্কোপি করা সম্ভব নয়। তার চেয়ে সাধারণ কোনো টেস্ট যা কোলোরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি মাপতে পারে, এরকম বায়োমার্কার দেখা ভালো। এখান থেকে যাদের ঝুঁকি থাকতে পারে বলে মনে হবে, তাদের স্ক্রিনিং করা যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গবেষকরা কোলোরেক্টাল ক্যানসারের জন্য বহু সংখ্যক রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। এই দলের পূর্ববর্তী দুটো গবেষণায় তরুণদের সাথে সবে সূচনা হয়েছে এরকম কলোরেক্টাল ক্যানসার রোগীদের বিপাকীয় পদার্থের পার্থক্য ও অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের পার্থক্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। ক্যানসারের ঝুঁকিতে আরও কারণ জড়িত থাকে, যা বিষয়টাকে আরও জটিল করে তোলে। অন্ত্রে নানা আদান প্রদান হয়, যেমন আমাদের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া আমাদের বিপাকীয় পদার্থ নিয়ে তাদের নিজস্ব বিপাকীয় পদার্থ উত্পাদন করে, যা অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের জটিলতা বাড়ায়। এই সব তথ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অ্যালগোরিদমে ফেলে দেখা গেছে, ডায়েট ক্যানসারের ক্ষেত্রে একটা ভূমিকা পালন করছে। নিজেদের অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, কিন্তু ডায়েট পরিবর্তন করে, বিশেষত রেড মিট বা প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমিয়ে কোলোন ক্যানসার রোধ করা সম্ভব।