তারে আমি চোখে দেখিনি – কোয়ান্টামের জাদুতে দেখা যাবে?

তারে আমি চোখে দেখিনি – কোয়ান্টামের জাদুতে দেখা যাবে?

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২

ধরা যাক একটা চেয়ার। যদি কেউ বলে চেয়ারটার দিকে না তাকিয়েই চেয়ারটাকে সে দেখতে পাচ্ছে – লোকে বলবে হয় পাগল নইলে সন্ত। কিন্তু ‘দেখা’ কাকে বলে? আমাদের চোখের রেটিনাতে বিশেষ ধরণের কোষ আলো শোষণ করে, সেই কারণেই চারপাশের পৃথিবীকে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু আলো যদি এক কণামাত্রও শোষিত না হয়, তাহলে কি দেখা সম্ভব? অদ্ভুতভাবে, উত্তরটা ‘হ্যাঁ’।
মনে করা যাক, ক্যামেরার কার্টিজে এক রোল ফটোগ্রাফিক ফিল্ম আছে। ফিল্মের রোলটা এতটাই সংবেদনশীল যে একটামাত্র ফোটন কণার সংস্পর্শেই সেটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমাদের রোজকারের অভিজ্ঞতা (অর্থাৎ, ক্লাসিক্যাল মেকানিক্স) বলবে, কার্টিজের মধ্যে ফিল্ম আছে কি নেই সেটা বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কোয়ান্টামের আপন দেশে আইনকানুন আলাদা, সেখানে এটা সম্ভব। এই পরীক্ষাটা প্রথম হাতেকলমে করেছিলেন অ্যান্টন জেলিঙ্গার। নামটা অনেকেই এই কদিনেই ভুলে গেছে হয়তো। জেলিঙ্গার সাহেব ২০২২ সালে পদার্থবিদ্যায় নোবেল প্রাপকদের মধ্যে অন্যতম একজন।
এবার, স্বাভাবিক দুনিয়া আর কোয়ান্টামের মধ্যে যোগসূত্র খুঁজতে আল্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রুতি দোগরা, জন ম্যাককর্ড, ঘেওর্ঘে সরিন প্যারান্যু নতুন একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন। এটা আগের চেয়ে বেশি কার্যকরী। গবেষক দলটা ট্র্যান্সমন ডিভাইস ব্যবহার করেছে। এটা এক ধরণের অতিপরিবাহী বর্তনী, যা আকারে বড়ো কিন্তু তা সত্ত্বেও কোয়ান্টাম চরিত্র প্রকাশ করে।
নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় সম্প্রতি গবেষণার সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হল।