তীব্রগতি ফুটবল

তীব্রগতি ফুটবল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল দেখার অভিজ্ঞতাই এত তীব্র হয়, তাহলে খেলোয়াড়দের কথা একবার ভাবুন, যারা ক্রমবর্ধমান তীব্রতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এটি বোঝার জন্য ইউ এন এস ডাব্লিউ সিডনির স্কুল অফ হেলথ সায়েন্সেসের অধ্যাপক কেভিন নর্টন ২০১৪-২০২২ সালের মধ্যে পুরুষদের ১২ টি ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল এবং ১৯৯১-২০২৩ সালের মধ্যে মহিলাদের ১২ টি ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের সম্প্রচার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছেন। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ পারফরম্যান্স অ্যানালিসিস ইন স্পোর্ট’ -এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক নর্টন বলেন, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই ফুটবলের বিকাশ হচ্ছে। খেলার সময় বল কতটা দূরত্ব অতিক্রম করছে, তাতে পুরুষদের ক্ষেত্রে সময়ের সাপেক্ষে কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়নি। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বল চলাচলের গতি পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মহিলাদের খেলায় বলের গতি পুরুষদের খেলার থেকেও দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহিলাদের খেলায় বলের গতি এখন পুরুষদের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
খেলোয়াড়রা আরও সঠিকভাবে এবং ঘন ঘন বল পাস করছেn , কারণ তাদের দক্ষতা ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। বল পাসের হার বাড়ানোর জন্য, খেলোয়াড়দের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে, কৌশলী হতে হচ্ছে এবং দ্রুত বল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। ফুটবলে গতি একটি মূল মাপকাঠি হয়ে উঠছে। দলগুলি এমন খেলোয়াড় চায় যারা দ্রুত চলার সময়ও ভালভাবে বল পরিচালনা করতে পারেন । প্রফেসর নর্টনের মতে, খেলোয়াড়দের এখন ভিড়ের পরিস্থিতিতেও তাৎক্ষণিকভাবে বল নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে এবং দ্রুত ও সঠিকভাবে বল পাস করতে হচ্ছে।
তার মতে, খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াও আরও বিকশিত হবে। খেলোয়াড়দের শারীরিক চাহিদা যেমন, পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এবং ক্লান্তি ও আঘাত প্রতিরোধের কৌশল ইত্যাদিকেও আরও উন্নত করতে হবে। এই প্রবণতাগুলি অব্যাহত থাকলে খেলার সময় গতি, শক্তি, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সঠিকভাবে বল পাস করার ক্ষমতা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
ফুটবল খেলা বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে, এক সময় লিওনেল মেসি এবং স্যাম কেরের মতো খেলোয়াড়দের স্তরের দক্ষতাও সাধারণ হয়ে উঠবে। তবে, বাড়তি তীব্রতায় খেলা আরও বেশি আঘাতের কারণ হতে পারে। তাই, খেলোয়াড়দের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, সুস্থ হয়ে ওঠার এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা দিয়ে পরিচালনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

তথ্যসূত্রঃ https://www.sciencedaily.com/releases/2024/12/241217131553.htm

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 18 =