তেরো রকমের ডাক ডাকে এই বনবিড়াল

তেরো রকমের ডাক ডাকে এই বনবিড়াল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৬ জুন, ২০২৪

শিকারী বনবিড়ালের মতো শুধু গর্জন নয়, জাগুয়ারুন্ডি নামের একটি ছোটো বনবিড়ালের প্রজাতি কমপক্ষে ১৩ ধরনের ডাক ডাকতে পারে- বিড়ালের মতো ডাক থেকে শুরু করে শিস দেওয়া, পাখির মতো কিচিরমিচির করা। আমেরিকার আদিবাসী এই বনবিড়ালকে দেখতে অনেকটা ভোঁদড়ের মতো। সরু লম্বাটে দেহ, ছোটো ছোটো পা, গোল গোল কান এবং ছোটো চ্যাপ্টা মাথা। নিম্নভূমি অঞ্চলে জলা জায়গা বা ঘন গাছপালার আড়ালে এরা লুকিয়ে থাকে। ‘জাগুয়ারুন্ডি’ এই অদ্ভুত নাম থাকা সত্ত্বেও এরা জাগুয়ার বা আমেরিকার অন্যান্য ছোটো বনবিড়ালের গোষ্ঠীদের মতো নয়। প্রকৃতপক্ষে, জিনগত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এদের সাথে পুমা বা মাউন্টেন লায়নের (পুমা কনকলার) অনেক মিল রয়েছে যদিও এরা আকারে অনেক ছোটো। এই কারণেই সাম্প্রতিক গবেষণায় এদের বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে পুমা ইয়াগৌরাউন্দি। এরা আগে হারপাইলুরাস গণের অন্তর্গত ছিল। বন্য এবং গৃহপালিত বিড়াল উভয়ই বিভিন্ন ধরনের শব্দ করে। অন্যদের তারা কী বলার চেষ্টা করছে তার উপর নির্ভর করে তাদের ডাক। সিংহ, বাঘ এবং জাগুয়ারের মতো বড়ো বন্য বিড়ালদের ক্ষেত্রেও একই বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। তবে জাগুয়ারুন্ডি অন্যান্য বিড়ালের তুলনায় আরও বেশি ধরনের ডাক ডাকতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এটি কমপক্ষে ১৩টি ভিন্ন ভিন্ন আওয়াজ করতে পারে। কীভাবে বা কেন জাগুয়ারুন্ডি এতগুলো ধরনের আওয়াজ করে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তারা নির্জনে থাকে এবং খুব কমই বন্য পরিবেশে দেখা যায়। গবেষকদের অনুমান এরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে, তাদের অঞ্চল চিহ্নিত করতে এবং সঙ্গী খুঁজতে ডাকে। জীববিজ্ঞানীরা দেখেছেন জাগুয়ারুন্ডি মনোযোগ আকর্ষণ করতে অল্প সময়ের জন্য শিস দেয় আবার একে অপরকে অভ্যর্থনা জানাতে দীর্ঘ সময় ধরে শিস দেয় বা বকবক-এর মতো আওয়াজ করে।