‘দী-পু-দা’-কে চ্যালেঞ্জ জানাবে চামুর্চি!

‘দী-পু-দা’-কে চ্যালেঞ্জ জানাবে চামুর্চি!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৫ জুন, ২০২২

যুগ যুগ ধরে বাঙালির কাছে পিঠে ঘোরা মানে ‘দী-পু-দা’। দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। কিছুটা মডিফিকেশন হয়ে গত কয়েক দশকে ‘দী-পু-দা’-র সঙ্গে যোগ হয়েছে ডুয়ার্স আর সিকিম। জলদাপাড়া, গরুমারা, বক্সা জাতীয় উদ্যানের সঙ্গে এখন বাঙালিকে খোঁজ নিতে দেখা যায় নাথুলা পাস, বাবা হরভজন সিংহের মন্দির কীভাবে যাওয়া যায় সেই সম্পর্কেও।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত ডুয়ার্সেও একাধিক অঞ্চল বা জায়গা অনাবিষ্কৃত। চামুর্চি সেরকম একটি নাম। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ১০২ কিলোমিটার দূরে, ডায়ানা নদীর তীরে, ঘুমন্ত এক গ্রাম চামুর্চি। স্বপ্নেরও গ্রাম বটে! শহরের কোলাহল দূরের কথা, বিভিন্ন রকমের পাখি, এমনকী ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকও শোনার জন্য কান পাততে হয় না। পাশাপাশি, যেদিকে তাকাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। সেখানেই শেষ নয়, সবুজের গন্ধ নিতে নিতে হঠাৎ আপনি স্পর্শ পেতে পারেন মেঘেরও! কারণ চামুর্চি থেকেই তো শুরু হয় মহাকাল পর্বতের ট্রেকিং! ৬ কিলোমিটার হাঁটলে মহাকাল পর্বতের বেস ক্যাম্পে পৌঁছে যাওয়া যায়।
চামুর্চি থেকে আরও এক চমকপ্রদ দেশ আপনি দেখতে পারেন। অনুমতিপত্র থাকলে যাওয়াও যায়। ভূটান। চামুর্চিকে বলাই হয় ‘ভূটানের একটি গেট’। ভারত থেকে স্থলপথে ভূটানে প্রবেশের ১৮টি গেটের একটি চামুর্চি। এই ছোট্ট গ্রামটির কাছে ভূটানের সাঁচি স্তুপ আর চা বাগান ছাড়াও আরও এক আকর্ষণ আছে। ডায়না নদীর তীর ধরে মহাকাল পর্বতের ট্রেকিং শুরু করার পর কিছুটা হাঁটলে দেখা যায় ‘মিউজিক স্টোনের’! দুটো পাথর তুলে তাদের ঠুকলে শোনা যাবে গানের সুর! স্ট্যালাকমাইট এবং স্ট্যালাগমাইট পাথরের ফর্মেশন রয়েছে চামুর্চিতে। বিশাখাপত্তনমের আরাকু ভ্যালিতে বোরা গুহায় যে পাথরের ফর্মেশন দেখতে পাওয়া যায়।
সন্দেহ নেই আগামীদিনে চামুর্চি পর্যটকদের কাছে ‘দী-পু-দা’ বা ডুয়ার্সের তথাকথিত জলদাপাড়া, গরুমারার চেয়েও বেশি আকর্ষর্ণীয় হয়ে উঠবে। প্রথমবার চামুর্চি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিশ্চিতভাবে মনে করাবে, ‘এই এত আলো, এত আকাশ, আগে দেখিনি……’