দ্রুততম ন্যানোটিউবের আবিষ্কার

দ্রুততম ন্যানোটিউবের আবিষ্কার

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১১ নভেম্বর, ২০২২

রসায়নের চটপটে বাচ্চার নাম – কার্বন ন্যানোটিউব। বহুমুখী পদার্থ হয়ে ওঠার সমস্ত বৈশিষ্ট্যই রয়েছে এটার মধ্যে। ওষুধ তৈরিতে, দূষণ পরিষ্কারে, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে এমনকি রঙের শিল্পেও কাজে লাগে এই কার্বন ন্যানোটিউব।
কিন্তু কার্বন ন্যানোটিউব তৈরি করা বেশ ঝামেলার। তাদের গঠনে প্রতিসাম্য বজায় রাখা আর নিয়ন্ত্রণ করার কাজটা বেশ জটিল। ঠিক কোন ন্যানোটিউব চাইছি আমরা সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে তাকে দ্রুততম করে তোলার পদ্ধতির সন্ধান দিচ্ছেন একদল গবেষক। তাঁদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হল সম্প্রতি সায়েন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায়।
ভিন্ন প্রতিসাম্যের কার্বন ন্যানোটিউব আলাদা গতিবেগে তৈরি হয়ে থাকে। অর্থাৎ, যেগুলো খুব কম বেগে উৎপন্ন হচ্ছে তাদের আলাদা করে সরিয়ে দেওয়া যায়।
উষ্ণ কার্বন-ঘটিত গ্যাসের প্রকোষ্ঠে অনুঘটকের উপস্থিতিতে যখন রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়, তখন পাইপ ফিডস্টক আর নজেলের মাধ্যমে ঐ পৃথকীকরণের পদ্ধতি বাস্তবায়িত করা সম্ভব। এই নজেল আর অনুঘটক যদি গতিশীল হয় তবেই কিন্তু দ্রুতবেগি ন্যানোটিউব উৎপাদন করা যাবে।
অ্যামেরিকার রাইস ইউনিভার্সিটির অন্তর্গত জর্জ ব্রাউন স্কুল অফ এঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষক ডঃ নেসিয়া বেটস বলছেন, অনুঘটক কণার গতিশীলতার নিয়ম অনুযায়ী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যখন ন্যানোটিউব গঠিত হচ্ছে।
তারপর যখন গোটা প্রক্রিয়ার বেগ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে তখনই একমাত্র কেমিক্যাল ইচিং পদ্ধতির মাধ্যমে খুব ছোট ন্যানোটিউব আর খুব লম্বা ন্যানোটিউবের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে খুব ছোটগুলোকে বাদ দিয়ে খুব লম্বা ন্যানোটিউবের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 6 =