ধুলো এবং বিভিন্নরকমের জৈব বস্তু পুড়ে সৃষ্টি হওয়া দূষণেই বেহাল আরব সাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং নয়া দিল্লির মত শহর। গবেষণাটি করছে নৈনিতালের আর্যভট্ট গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের গবেষকরা। গত কয়েক বছর ধরে সংস্থাটি মধ্য হিমালয় অঞ্চল জুড়ে দূষণের সহায়ক রাসায়নিক পদার্থ, ধুলো কণা এবং সমস্তরকমের বর্জ্য সংগ্রহ করে আসছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, খনিজদ্রব্য থেকে নির্গত ধুলো, জৈব বস্তুর পোড়া বর্জ্য, সালফেট, নাইট্রেটের বর্জ্য যার মধ্যে অ্যারোজল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, সেগুলো থেকে দূষণ হচ্ছে এবং বাড়ছে দিল্লি, রাজস্থানের থর মরুভূমি এবং আরব সাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চল জুড়ে। গবেষকরা আরও পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, এই বর্জ্যগুলো আসছে কোথা থেকে। মূলত উত্তর-পশ্চিম ভারত এবং পাকিস্তান থেকে! দূরপাল্লার পরিবহণে সরবরাহ করা হচ্ছে মেরিন-মিশ্রিত অ্যারোজল। এই অ্যারোজলের উৎস কোথায়? গবেষকদের মতে মধ্য হিমালয়ের তরাই অঞ্চল জুড়ে। একটা হিসেবও দিয়েছে নৈনিতালের এই গবেষণা সংস্থা। নৈনিতালের বাতাসে যে পরিমাণ অ্যারোজল মিশছে (অ্যারোজল হল কোনও কঠিন পদার্থের বর্জ্য কণা অথবা কোনও তরল রাসায়নিক পদার্থের বর্জ্যের ফোঁটা যা বাতাসে মেশে এবং তাকে প্রবলভাবে দূষিত করে) তার মধ্যে খনিজ দ্রব্য-জাত ধুলোর ভাগ সবচেয়ে বেশি, ৩৪ শতাংশ, পোড়া জৈব বস্তুর ভাগ ২৭ শতাংশ, সালফেটের বর্জ্য ২০ শতাংশ, নাইট্রেটের বর্জ্য ৯ শতাংশ এবং মেরিন-মিশ্রিত অ্যারোজলের ভাগ রয়েছে ১০ শতাংশ।