নতুন চোখের জন্ম, সৌজন্যে থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিং

নতুন চোখের জন্ম, সৌজন্যে থ্রি-ডি বায়োপ্রিন্টিং

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

থ্রি-ডি প্রিন্টিং হচ্ছে কোনও বিশেষ পদার্থের পুনরুৎপাদন। বায়োপ্রিন্টিং মানে বোঝাই যাচ্ছে, প্রিন্ট করা হবে জীবকোষ। অর্থাৎ, জীবদেহের কোষ বা কলার পুনরুৎপাদন। এবার এই পদ্ধতির প্রয়োগ করেই বিজ্ঞানীরা চোখের কলা সৃষ্টি করলেন। বিভিন্ন ধরণের অন্ধত্বের সমস্যার গতিবিধি আরও ভালোভাবে বুঝতে সুবিধে হবে বলে দাবী বিজ্ঞানীদের।
ন্যাশানাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথের অন্তর্গত ন্যাশানাল আই ইন্সটিটিউটের গবেষক দল এই নয়া কীর্তি স্থাপন করেছেন। রেটিনার আলোক-সংবেদী ফোটোরিসেপ্টর তৈরি হয় যে কলা দ্বারা, ব্লাড-রেটিনা বেরিয়ারের বাইরের অংশ থেকে সেইসব কোষ সংগ্রহ করা হয়েছিল। বয়েস-নির্ভর ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন বা এএমডি রোগের ক্ষেত্রে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে অনেক নমুনা পাওয়া যাবে এই পদ্ধতিতে।
মুখ্য গবেষক কপিল ভারতী বলছেন, এটা আগেই জানা ছিল যে এএমডি রোগটা ব্লাড-রেটিনা বেরিয়ারের বাইরের অংশেই শুরু হয়। কিন্তু কীভাবে এই রোগ বাড়তে থাকে ক্রমে সেটা এতদিন জানা ছিল না, সত্যিকারের নমুনার অভাবে।
ভারতী ও তাঁর সহকর্মীরা হাইড্রোজেলের মধ্যে তিন প্রকার অপরিণত কোরোইডাল কোষ একসাথে নিয়েছিলেন। পেরিসাইট আর এন্ডোথেলিয়াল কোষ ছিল, যারা ক্যাপিলারি গঠনের মূল উপাদান। আর ফাইব্রোব্লাস্ট নামের কোষ ছিল যা চোখের ঐ কলাকে আকার দেয়। তারপর বায়োপ্রিন্টিং করা হয় এবং কোষগুলো স্বাভাবিকভাবেই পরিণত হয়ে সম্পূর্ণ ক্যাপিলারি জাল তৈরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + five =