একদল ভারতীয় জীববিজ্ঞানী নতুন খুঁজে পাওয়া একটি টিকটিকি শ্রেণির জীবের নাম দিয়েছেন মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের নামে- সিনেমাসপিস জ্যাকাই।
গেকো- সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীবিশেষ। মূলত মেরুদণ্ডী টিকটিকি গোত্রের। মোটকথায় একটি প্রজাতি। ভারতের একদল জীববিজ্ঞানী গত ২৩ শে সেপ্টেম্বর জুওলজিকাল রিসার্চে প্রকাশি নিবন্ধে জানিয়েছেন পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় অনুচ্চ বনাঞ্চলে ১২টি আলাদা আলাদা শ্রেণীর গেকো প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একটি টিকটিকিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করেন গবেষকরা। ঐ টিকটিকিটি কিছুতেই ধরা দিচ্ছিল না, যখনই ধরতে যাচ্ছিলেন গবেষকেরা তখনই লাফিয়ে লাফিয়ে এক পাথর থেকে আর এক পাথরে পালাচ্ছিল, ঢুকে পড়ছিল পাথরের কোনো ফাঁকে গর্তের মধ্যে। দ্রুত পদক্ষেপের জন্যে এই শ্রেণির টিকটিকিটির নাম দেওয়া হয়েছে মার্শাল আর্টিস্ট জ্যাকি চ্যানের নামে।
বেঙ্গালুরুর ন্যাশানাল সেন্টার ফর বায়োলজিকাল সায়েন্স এর জীববিজ্ঞানী এবং এই গবেষণা দলের সদস্য জিশান মির্জা জানান, যখন একটু অপরিচিত শ্রেণির কোনো প্রাণীর সন্ধান মেলে তখন বিখ্যাত মানুষ বা কিছুর সাথে মিলিয়ে নতুন জীব শ্রেনিটির নাম দিলে আইডেন্টিফাই করতে খানিক সুবিধে হয়। যেমন মির্জাই আজ পর্যন্ত ৬০ টি নতুন প্রাণী প্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন। এদের মধ্যে আছে পিট ভাইপার গোত্রের সাপ(বিজ্ঞানসম্মত নাম – ট্রিমেরেসুরুস সালাজার)। ‘সালাজার’ আসলে হ্যারি পটার সিরিজের বিখ্যাত চরিত্র। এই সাপকে চলতি ভাষায় সালাজার’স পিট ভাইপার বলেও চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়াও জীশান মির্জারা স্কিন প্যাটার্নকে ভিত্তি করে ১২টি শ্রেণির গেকোর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণির নামকরণ করেছেন।
১) যেমন গেকো প্রজাতিরই নতুন শ্রেণির নাম দেওয়া হয়েছে- গোল্ডেন ক্রোনেড ডে গেকো – বিজ্ঞান সম্মতনাম – সি রেগালিস। এরকম নামের কারণ এই শ্রেণির টিকটিকিটির মাথাটা সোনালী -হলুদ বর্ণের।
২) আর এক শ্রেণির গেকোর চামড়ার সাথে গ্যালাক্সির তারাদের অদ্ভুত সাদৃশ্য পাওয়া গেছে বলে নাম দেওয়া হয়েছে গ্যালাক্সি ডে গেকো। বিজ্ঞানসম্মত নাম- সি গ্যালাক্সিয়া।
৩) মেঘের মতো দেখতে গায়ের পাশের দিকের চামড়া, তাই নাম হয়েছে ক্লাউডেড ডে গেকো। বিজ্ঞান সম্মত নাম- সি নিম্বাস।
এমনিতেই বনাঞ্চল ক্রমাগত কাটার ফলে এই প্রাণীগুলি অস্তিত্ব সংকটের দিকে এগোচ্ছে। মির্জা মনে করেন এই সমস্ত ক্যাচি নাম প্রাণীগুলি সংরক্ষণ এবং রক্ষনাবেক্ষনে বাড়তি নজর দিতে সক্ষম হবে।