একটা জুতোর ছোট বাক্স, বা একটা বড় পাউরুটির মতো আকার। নাসার অভিনব স্যাটেলাইটের আকার ওই জুতোর বাক্স বা একটা বড় পাউরুটির মতই সাইজেরই হবে এবার! পৃথিবীর সীমানায় যে চৌম্বকক্ষেত্র রয়েছে তার সঙ্গে সূর্য কীরকম ব্যবহার করে সেটা জানাই উদ্দেশ্য এই অভিনব স্যাটেলাইটের! এই উপগ্রহটির নাম কিউবস্যাট। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রটি দেখতে কীরকম সেটা জানানো প্রথম কাজ হবে কিউবস্যাটের। তারপর সে বিশ্লেষণ করে জানাবে সেই চৌম্বকক্ষেত্রের সঙ্গে সূর্য কীরকম ব্যবহার করে। নাসার এক বিজ্ঞানী ব্রায়ান ওয়ালশ জানিয়েছেন, বরাবর তাঁরা শুনে এসেছেন, সূর্য থেকে শক্তি আর অন্যান্য উপাদান পৃথিবীর দিকেই বেশি যায়। তার ধাক্কা মানুষকে খেতে হয় না তার অন্যতম একটা কারণ, পৃথিবীর সীমানায় থাকা এই চৌম্বকক্ষেত্র। সেখানে ধাক্কা খাওয়ার পরই, বিজ্ঞানীদের মতে সূর্যের যাবতীয় শক্তি, তেজষ্ক্রিয় পর্দাথের চেহারা বদলে যায়! এই অভিনব উপগ্রহ সেই কাজটা পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আরও জানা গিয়েছে, এই অভিনব উপগ্রহ তৈরি হচ্ছে ১৬ বছর ধরে! বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সমান দক্ষতায় কাজ করছেন প্রযুক্তিবিদরাও। কারণ, এত ছোট উপগ্রহটির সবচেয়ে শক্তিশালী বিভাগ হল ক্যামেরা! সূর্যের বিকিরণ পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে ধাক্কা লাগার পর সেখান থেকে নরম এক্স-রশ্মির নির্গমন হয় সেটার কারণ এবং কীভাবে হয় তার ছবিও তুলবে কিউবস্যাট। তার ক্যামেরা বিশেষ ধরণের এবং সেটি তৈরি করতে প্রচুর পরিশ্রম ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। নাসা এই উপগ্রহকে পরবর্তী প্রজন্মের উপগ্রহ বলছে।
চিত্র ঋণ : নাসা