চলতি নভেম্বরের ২৪ তারিখে নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স মিশন ‘ডার্ট’ চালু হতে চলেছে। ডার্ট বা ডাবল অ্যাসট্রয়েড রিডিরেকশন টেস্ট। মহাকাশযান উৎক্ষেপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গত ২০শে অক্টোবর থেকে। নাসা এবং জন হপকিন্স অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ল্যাবরেটরি র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই মহাকাশ মিশন পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থিত গ্রহানু গুলির পৃথিবীর সাথে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভবনা ও সমাধানের উপায় খুঁজে দেখবে। প্রসঙ্গত ডার্ট নাসার প্রথম প্ল্যানেটারি ডিফেন্স বা পৃথিবীকে সৌরমণ্ডলের অন্যান্য বস্তুগুলি থেকে সুরক্ষার জন্যে প্রথম পরীক্ষামূলক প্রকল্প। যে পদ্ধতির পারিভাষিক নাম কাইনেটিক ইম্পাকটর।
মহাকাশযান উৎক্ষেপনের পরে স্পেস ক্রাফট গ্রহানুতে গিয়ে সরাসরি ধাক্কা দেবে। তাতে ছড়িয়ে পড়া তরঙ্গকে ভিত্তি করেই গ্রহানুর গতিপথ নির্ণয় করা যাবে। বোঝা যাবে পৃথিবীর সঙ্গে ঐ গ্রহানুর ধাক্কা খাওয়ার সম্ভবনা কতটা। স্পেস ক্রাফট এর সোলার পাতটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮ ফুট। গতি থাকবে সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার। মোট ১২ মাসের প্রকল্প এটি। ২০২২ এর ২রা অক্টোবর মিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যাবে – পরিকল্পিত আছে।
এই প্রকল্পের অন্যতম সদস্য এলিনা অ্যাডাম বলেন, গ্রহানুর সংঘাতেই পৃথিবী থেকে অনেককাল আগে ধ্বংস হয়ে গেছিলো ডায়নোসর। তাই এমন কোনো সংঘাত থেকে মানুষের বিলোপ যাতে না হয়-এ ব্যাপারে আমরাই কিছু করতে পারি। সব মিলিয়ে এটি অসামান্য মিশন।
চিত্র ঋণ – নাসা