নোবেলজয়ী সুইস পদার্থবিজ্ঞানী মুলারের জীবনাবসান

নোবেলজয়ী সুইস পদার্থবিজ্ঞানী মুলারের জীবনাবসান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

কার্ল অ্যালেক্স মুলার। সুপার-কন্ডাক্টার আবিষ্কারের জন্য ১৯৮৭ সালে জার্মান বিজ্ঞানী জর্জ বেডনর্জের সাথে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। গত ৯ই জানুয়ারি এই সুইস পদার্থবিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়েছে। বয়েস হয়েছিল ৯৫ বছর।
ট্যাগেস-অ্যাঞ্জিয়ার সংবাদপত্র এবং আইবিএম রিসার্চ ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে প্রথম মুলারের মৃত্যুর খবর শিরোনামে আসে। ৩৫ বছর আগে জুরিখের এই পরীক্ষাগারেই বেডনর্জ আর মুলার গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল, সেরামিক পদার্থ নিয়ে অতিপরিবাহী অনুসন্ধানে যুগান্তকারী পদক্ষেপের জন্য এই সম্মান।
তাঁদের আবিষ্কারের সুবাদেই আমরা আজ সুপার-কন্ডাক্টারের এতও বিবিধ প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছি। অনেক সহজলভ্য হয়েছে। ট্রেন থেকে শুরু করে এমআরআই-এর ছবি তোলা – নানান গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবার ক্ষেত্রে তাঁদের গবেষণার সুফল ভোগ করছে বর্তমান বিশ্ব।
১৯১১ সালে ওলন্দাজ বিজ্ঞানী হাইক কামেরলিং পারদকে ঠাণ্ডা করে শূন্যর নিচে মাইনাস ২৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিয়ে যান। সেই অবস্থায় পারদের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবহনে কোনও রোধ সৃষ্টি হয়নি। অতিপরিবাহী পদার্থের জয়যাত্রা সেই দিন থেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 3 =