নোবেল জয়ী দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন মাইক্রো আরএনএ-র ভূমিকা

নোবেল জয়ী দুই বিজ্ঞানী জানিয়েছেন মাইক্রো আরএনএ-র ভূমিকা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৮ অক্টোবর, ২০২৪

এই বছরে সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের নোবেল প্রাপক হিসাবে আমেরিকার দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন- এই দুই বিজ্ঞানী একটি মৌলিক নীতি আবিষ্কার করেছেন- কীভাবে জিনের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রিত হয়। তাদের মতে জিনের কাজের নিয়ন্ত্রক হিসেবে রয়েছে এক বা একাধিক এমআরএনএ। এত দিন পর্যন্ত তাদের উপস্থিতির কথা জানা থাকলেও চরিত্র এবং গতিবিধি জানা ছিল না বিজ্ঞানীদের।
আমাদের ক্রোমোজোমের মধ্যে সঞ্চিত তথ্যকে আমাদের শরীরের সমস্ত কোশের জন্য একটি নির্দেশিকার মতো ভাবা যেতে পারে। প্রতিটি কোশে একই সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে, তাই বলা যেতে পারে প্রতিটি কোশে ঠিক একই সেট জিন এবং হুবহু একই নির্দেশাবলী থাকে। তবুও, বিভিন্ন কোশের ধরন বা বৈশিষ্ট্য আলাদা আলাদা। যেমন পেশি এবং স্নায়ু কোশের খুব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কীভাবে এই পার্থক্য উদ্ভূত হয়? গবেষকরা বলছেন জিন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে। যা প্রতিটি কোশকে শুধুমাত্র প্রাসঙ্গিক নির্দেশাবলী নির্বাচন করতে দেয়। অর্থাৎ প্রতিটি কোশের মধ্যে শুধুমাত্র সঠিক জিনের সেট সক্রিয় থাকে।
নোবেল জয়ী দুই বিজ্ঞানী, জানতে আগ্রহী ছিলেন কীভাবে বিভিন্ন কোশের বিকাশ ঘটে। তারা মাইক্রোআরএনএ নামে এক নতুন শ্রেণীর ক্ষুদ্র আরএনএ অণু আবিষ্কার করেছেন, যা জিন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাদের যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন দিক উন্মোচন করেছে যা মানুষ সহ বহুকোশী জীবের জন্য অপরিহার্য। বর্তমানে জানা গেছে যে মানুষের জিনোম এক হাজারেরও বেশি মাইক্রোআরএনএ-র জন্য কোড করে। তাদের এই আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের এক নতুন দিকে আলোকপাত করেছে। কীভাবে জীবের বিকাশ ঘটে এবং কাজ করে তা বোঝার ক্ষেত্রে মাইক্রোআরএনএ-র গুরুত্ব অপরিসীম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − three =