পরমাণুর কম্পনকে হাতিয়ার করে তাপ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়। কোনও পদার্থের উপর চাপ বাড়ানো হলে ঐ পদার্থের পরমাণুগুলো আরও কাছাকাছি চলে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাপ পরিবহনে সুবিধে হয়। চাপ বাড়লে তাপের চলাচলও বাড়ে – এটাই ছিল এতদিনের প্রতিষ্ঠিত সূত্র। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস এঞ্জেলস ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানীরা শোনাচ্ছেন অন্য কিছু।
নেচার পত্রিকায় এ সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটা। বোরন আর্সেনাইড নামের একটা যৌগ। এটা উন্নততর ইলেক্ট্রনিকসের জন্য নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। কিন্তু এই পদার্থটা পদার্থবিদ্যার অবাধ্য ছাত্রের মতো আচরণের প্রমাণ দিয়েছে। খুব উচ্চ চাপের মধ্যে বোরন আর্সেনাইডের তাপ পরিবহনের ক্ষমতা কমে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ইয়ংজি হু ছিলেন মুখ্য গবেষক। তাঁর ভাষায়, এই মৌলিক গবেষণা প্রমাণ করে দিচ্ছে তাপ/চাপের সাধারণ সূত্র কিন্তু চরম পরিস্থিতিতে আর খাটে না।
পরীক্ষাটা কেমনভাবে সাজানো হয়েছিল? – দুটো হিরের মাঝে বোরন আর্সেনাইডের একটা ক্রিস্টালকে রেখে নিয়ন্ত্রিত প্রকোষ্ঠে উচ্চ চাপের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়। তারপর আলট্রাফাস্ট অপটিকস আর ইনইলাস্টিক এক্সরের মতো উন্নততম প্রযুক্তি ব্যবহার করে বোঝা যায় তাপ পরিবহনের ব্যতিক্রমটা।