পরপর ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙা শহর থেকে উঠে এলেন নতুন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ

পরপর ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙা শহর থেকে উঠে এলেন নতুন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌।
Posted on ২৭ মার্চ, ২০২৩

র‍্যাচেল ইস্ফোরডিং যখন মাত্র ১২ বছরের নাবালিকা, হ্যারিকেন ইভান বয়ে গিয়েছিল অ্যালাব্যামার ছোট্ট শহর ফেয়ারহোপের উপর দিয়ে। মার্কিন মুলুকের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের বহু অঞ্চলই সাক্ষী থেকেছে এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের। উপড়ে পড়েছিল বাড়ি, ছত্রভঙ্গ বিভিন্ন এলাকা আর প্রাণহানির ইয়াত্তা নেই। একই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন অ্যামেরিকার অনেকগুলো প্রদেশ আর ক্যারিবিয়ান দেশগুলো।
তারপর, বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবার একটা ঘূর্ণিঝড়। তখনও আগের হ্যারিকেনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে সম্পূর্ণ উঠে দাঁড়াতে পারেনি বাসিন্দারা। এটা ছিল একটা ক্যাটেগরি-৫ ঘূর্ণিঝড়। নাম – ক্যাটরিনা। সম্পত্তি নষ্টের হিসেব থেকে বলা যায়, এটাই অ্যামেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে সংহারক হ্যারিকেন। মোটামুটি ২০০০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। ক্ষতির পরিমাণটা ছিল মার্কিন ডলারে ১২৫ বিলিয়ন।
কিন্তু ইস্ফোরডিং তখনও যুবতী হননি। সেই বিধ্বংসী একাধিক ঝড়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী থেকে তাঁর মাথায় নতুন প্রেরণা দানা বাঁধে। পৃথিবীর আবহাওয়া ব্যবস্থা নিয়ে আগ্রহ বাড়ে ইস্ফোরডিং-এর। বিশ্বের একেবারে অন্য প্রান্তে তাঁর জীবনের রাস্তাটা শুরু হয় একজন ক্লাইমেট সায়েন্টিস্ট হিসেবে।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত ক্লাইমেট চেঞ্জ রিসার্চ ইন্সটিটিউটে পিএইচডির ছাত্রী র‍্যাচেল। গবেষণার বিষয় মূলত জটিল কম্পিউটার মডেল নিয়ে। এই মডেল থেকে ব্যাখ্যা করা যাবে ভবিষ্যতে কেমন আবহাওয়ার অবস্থা বিরাজ করবে পৃথিবীর নানান অঞ্চলে। জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের ভূমিকা আর দায় কতখানি সেটাও রয়েছে র‍্যাচেলের কাজের অংশ হিসেবে।