পরিবেশের এক্তিয়ারে নগর আর বানিজ্যের চেহারা বদলাতে সহায় বিজ্ঞান

পরিবেশের এক্তিয়ারে নগর আর বানিজ্যের চেহারা বদলাতে সহায় বিজ্ঞান

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দূষণের ঠ্যালায় শুধু প্রকৃতি বা মানুষই নয়, লাটে ওঠার দিকে আমাদের গর্বের নগরসভ্যতা। বিজ্ঞানীরা সাবধান করেছিলেন আগেই। এমনকি কিছু নির্দিষ্ট সীমানাও বেঁধে দিয়েছিলেন ওনারা। যাতে শিল্প বা শহরের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ফাঁসির দড়ি না হয়ে ওঠে মানুষের জন্যে।

আর্থ কমিশন আনতে চলেছে নতুন কিছু নিয়মকানুন। নগর পরিকল্পনা আর ব্যবসায় মেনে চলতে হবে সেগুলো। এই কর্মকাণ্ড আজকের নয় যদিও, শুরু হয়েছিল এক দশক আগেই। কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ, জলদূষণ, জমি ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ – এসব নিয়েই কয়েকটা নির্দিষ্ট নীতি। কিন্তু গবেষকরা সবটুকু নিয়ন্ত্রণ করবেন, এমনটা আশা করা ভুল।

ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটার বিজনেস স্কুলের তরফ থেকে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হল। নেচার পত্রিকায় বেরিয়েছে। কতটা ভার বইতে পারে পৃথিবী? শিল্প ও নগর বিকাশের বিষয়ে ঠিক কি কি পরামর্শ নিতে হবে প্রশাসকদের, তাতে কতটা সাহায্য করতে পারেন বিজ্ঞানীরা – এসব নিয়েই এই গবেষণাপত্র।

এক যুগ আগেই প্রকৃতি পৃথিবীর সহ্য করার ক্ষমতা নিয়ে আর্থ সিস্টেম বাউন্ডারি নামের গাইডলাইন বেরিয়েছিল। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ন’টা বিষয় ছিল। যেমন – জলবায়ু পরিবর্তন, জীবমণ্ডলের ভবিষ্যৎ, জমি ও জলের ব্যবহার, সমুদ্রের হালহকিকত, ওজোন স্তরের ক্ষতি ইত্যাদি। এখন সামাজিক ন্যায়ের প্রসঙ্গকেও যুক্ত করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। যাতে বিধিনিষেধের তালিকা সঠিক হওয়ার সাথে সাথে নিরাপদও হতে পারে যথেষ্ট।