লক্ষ্য ছিল ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য মঙ্গলের পাথর আনা। কিন্তু নাসার প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। আগস্টের ৫ তারিখে নাসার মহাকাশযানের রোভার মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশ থেকে পাথর তোলার চেষ্টা করতেই দেখা যায়, পাথর ভঙ্গুর। তবুও সেপ্টেম্বরের পয়লায় রোভার আশাজনক তথ্য জানান দিল নাসার বিজ্ঞানীদলকে। এবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা। যদিও সেটাও ছিল সংশয়াচ্ছন্ন। এবার রোভার মঙ্গলের পৃষ্ঠদেশের যে ছবি পাঠাল তা কম সূর্যালোকের কারণে অপরিষ্কার। ৩ রা সেপ্টেম্বর অপেক্ষাকৃত উজ্জ্বল সূর্যালোকে ছবি নেওয়ার পরিকল্পনা হল আবার। বিজ্ঞানীদল এবারে ঠিক করে ফেললেন যে কঠিন, টেকসই ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে মূল্যবান পাথরের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। সেই মতো ঠিক হল মঙ্গল-পিঠের নির্দিষ্ট একটি স্থান। খুঁত যে একেবারে ছিল না তা নয়। তবু উদ্যমের জোরেই রোভার লক্ষ্যস্থান ‘জিজেরো খন্দে’ পৌঁছল। এটি আসলে মঙ্গল-পিঠের প্রাচীন একটি লেক। গত ফেব্রুয়ারির অভিযান এখান থেকেই প্রাচীন অণুজীবের অনুসন্ধান করেছিল। এবারের লক্ষ্য ছিল ব্রিফকেস সাইজের পাথর যার পোষাকি নাম ‘রচেট্টে’, তা সংগ্রহ করে আনা। সাত ফুট বাহুবিশিষ্ট রোভার সজোরে টেনে পেনসিলের চাইতে মোটা পাথরের নমুনা টিউবসদৃশ যন্ত্রের পেটের ভেতর ঢুকিয়ে ফেলতে সক্ষম হল এবারে। পরে বৈজ্ঞানিক উপকরণের সাহায্যে সহজেই জানা যাবে ওই পাথরের রাসায়নিক ও খনিজ উপাদান। সেই সঙ্গে মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক চরিত্রও। নাসার লক্ষ্য রয়েছে ২০৩০-এর মধ্যে মঙ্গল-পিঠের তিরিশটি নমুনা সংগ্রহ করে আনার। যা মঙ্গলের প্রাচীন অণুজীব সম্পর্কে নতুন জ্ঞানে আলোকিত করবে পৃথিবীকে।