পার্কার সোলার প্রোবের আবিষ্কার

পার্কার সোলার প্রোবের আবিষ্কার

অর্পন নস্কর
Posted on ১৩ মার্চ, ২০২২

পার্কার সোলার প্রোব। সূর্যের রহস্যভেদ কার‍্যি নাসার মিশন। ২০১৮ সালের ১২ই আগস্ট মহাকাশে পাড়ি দেয় এই মহাকাশ মিশন। সূর্যকে মোট ২৪বার প্রদক্ষিন করার কথা। এর মধ্যে ১১তম প্রদক্ষিনের বারটি পেরিয়েছে গত ২৫ শে ফেব্রুয়ারী। এবং এই বারেই সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছেছে পার্কার সোলার প্রোব। এযাবৎ কালের ইতিহাসে সূর্যের সবচেয়ে কাছে পৌঁছে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আবিস্কার করেছে পার্কার সোলার প্রোব। টেরিং ম্যাপিং ক্যামেরার সাহায্যে সূর্যের অসাধারণ ভিডিও শ্যুটও করেছে পার্কার সোলার প্রোব।

পার্কারের দেখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকা নেচারে। কী কী দেখেছে পার্কার সোলার প্রোব?

১) সূর্যকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক জোরে সৌরবায়ুর ঘুর্ণন। সূর্যকে কেন্দ্র করে সৌরবায়ু ঘুরছে। এবং ঘুরতে ঘুরতে সৌরবায়ু সৌরমণ্ডলের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহে ছড়িয়ে পড়ছে।
২) সূর্যের আশেপাশে কোনো ধুলিকনা নেই। সেটাকে বলা হচ্ছে ডাস্ট ফ্রি জোন। এতদিন ধারণা করা হতো মহাবিশ্বের সর্বত্র ধুলিকনা আছে। এই ডাস্ট ফ্রি জোনের কারণ হলো ডাস্ট থাকলে তা সৌরতাপে বাস্প হয়ে যায়।
৩) সৌরবায়ুর উল্টোমুখি আচরণ। ধারণা ছিল সৌরবায়ু সূর্য থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে সৌরমণ্ডলে। কিন্তু পার্কার দেখেছে সৌরবায়ু প্রথমে বেরিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সূর্যের দিকেই প্রবেশ করে। দ্বিতীয় বার সূর্য থেকে নির্গত হয়ে তবেই সৌরমণ্ডলে ছড়ায়। একে বলে সুইচ ব্যাক।
৪) সূর্যের কোথাও কোথাও সৌরবায়ু অনেক দ্রুত গতিতে প্রবাহিত, আবার কোথাও অনেক ধীর গতিতে প্রবাহিত। এই গতির তারতম্যই সূর্যের সারফেস বা করোণার তাপমাত্রা কোথাও একলাফে বহুগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৫) আগের তুলনায় কমেছে সূর্যের ঘুর্ণন গতি।