পা-ওয়ালা মাছ তার পা দিয়ে খাবারের খোঁজ করে

পা-ওয়ালা মাছ তার পা দিয়ে খাবারের খোঁজ করে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৩ অক্টোবর, ২০২৪
পা-ওয়ালা মাছ

পা-ওয়ালা এক মাছের খোঁজ মিলল। কেমব্রিজের হাভার্ড ইউনিভার্সিটির, নিকোলাস বেলেনো, আর স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেভিড কিংসলে তাদের সাথীদের নিয়ে সমুদ্র অভিযানে গিয়ে হঠাৎই এই মাছের খোঁজ পান। সি-রবিন নামে এক মাছকে ঘিরে অন্য মাছের ভিড় দেখে তারা এর কারণ খুঁজতে যান। তারা দেখেন, সি-রবিন সমুদ্রের নীচের মাটিতে ঢুকে থাকা শিকার খুঁজে বের করতে বেশ পটু। ল্যাবে কয়েকটা সি-রবিন এনে দেখেন, ঝিনুকের অংশ এরা মাটির নীচে থেকে খুঁজে বের করতে পারে এমনকি একটা অ্যামিনো অ্যাসিড থাকলেও তা খুঁজে বের করতে পারে।
সি-রবিনের দেহ মাছের মতো, কিন্তু তাদের পাখির মতো ডানা আর কাঁকড়ার মতো পা রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, সি-রবিন শুধুমাত্র সমুদ্রের নীচে হাঁটার জন্য এই পা ব্যবহার করে না। এই সংবেদনশীল অঙ্গ তারা মাটি খুঁড়ে চাপা পড়া শিকার খুঁজতে ব্যবহার করে। এর ওপরে সেল প্রেস জার্নাল, কারেন্ট বায়োলজি-তে দুটো গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যে জিনের বহিঃপ্রকাশে আমাদের পায়ের উদ্ভব হয়েছে, সি-রবিনের পা সেই জিনে থেকেই তৈরি হয়েছে। এরপর এই পা তারা শিকার খুঁজতে ব্যবহার করে। আমাদের জিভ স্বাদের বোঝার জন্য যে জিন ব্যবহার করে, এদের পাও সেই একই জিন ব্যবহার করে শিকার খোঁজে। সি-রবিনের পা সংবেদনশীল প্যাপিলা দ্বারা আবৃত, প্রতি প্যাপিলা স্পর্শ-সংবেদনশীল নিউরন থেকে স্নায়ুতন্ত্রী গ্রহণ করে। প্যাপিলাগুলোয় স্বাদ কোরকও রয়েছে। এছাড়া এগুলোয় রাসায়নিক সংবেদনশীলতা দেখা যায় যা সি-রবিনকে খুঁড়ে খাবার বের করতে সাহায্য করে। গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা প্রথমে ভেবেছিলেন, পা আছে বলে সি-রবিন অন্য মাছের থেকে আলাদা। তারা দেখেন, মূলত এদের পায়ের স্পর্শ সংবেদনশীলতা অন্য মাছ থেকে তাদের আলাদা করেছে। আবার প্রজাতি ভেদে সি-রবিনের এই সংবেদনশীলতা পৃথক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 5 =