লাল পিঁপড়ের কামড়। বা কাঁকড়া বিছের মত কোনও পোকার কামড়। যাতে শরীর জ্বলে যায়! আর আমরা বুঝতে পারি না, জানিও না যে এত জ্বলুনির কারণ কী। পোকা নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীরা কিন্তু জানেন, এদের দাঁতে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজের মত খনিজদ্রব্যের আচ্ছাদন থাকে! তাই এদের কামড়ে এত বিষ! সব পোকামাকড়ের নয়, কিছু কিছু পোকামাকড়ের দাঁতে থাকে এই বিষ।
ওরেগন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রকৃতিবিজ্ঞানী রবার্ট শফিল্ড আর তার সঙ্গীরা মিলে এক বিশেষ ধরণের পিঁপড়ে খুঁজে পেয়েছেন। অনায়াস ঔদ্ধত্যে এদের গাছের পাতা কাটতে দেখে এই বিজ্ঞানীর দল এই পিঁপড়েকে ধরে গবেষণাগারে নিয়ে এসেছিলেন। বিশেষ ধরণের অত্যন্ত শক্তিশালী এক মাইক্রোস্কোপ দিয়ে পিঁপড়ের দাঁত বিশ্লেষণ করেছেন। এই পিঁপড়ের বৈজ্ঞানিক নাম ‘আট্টা সেফালোটস’। সেই পিঁপড়ের একটা দাঁত নিয়ে গবেষণা করার সময় বিজ্ঞানীদের চোখে পড়েছে পুরো দাঁতটা জুড়ে ছড়ানো রয়েছে জিঙ্ক! দাঁতের কোনও একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নয়, পুরো দাঁত জুড়েই রয়েছে জিঙ্কের আচ্ছাদন। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, বিশেষ ধরণের এই পিপঁড়ে ছাড়াও ভারি এক বায়ো-মেটেরিয়ালের আচ্ছাদন কাঁকড়া বিছে, মাকড়সার দাঁতেও রয়েছে। সামুদ্রিক তিমির চোয়ালেও জিঙ্কের আচ্ছাদন রয়েছে বলেই এরা খুব শক্ত, কঠিন বস্তুও সহজে কাটতে পারে। শফিল্ড বলেছেন, “জিঙ্কের ওই আচ্ছাদনটা ছুরির মত কাজ করে! সহজে কাটতে পারে আর যার শরীরে কাটে তাকে প্রায় মৃত্যুর দরজায় পৌঁছে দেয়। আর অত্যন্ত শক্তিশালী দাঁত থাকার জন্যই পিঁপড়েকে তার দুর্বল ও ছোট ছোট পেশীগুলোকে ব্যবহার করতে হয় না।”