পিছু হটছে থোয়েটস: পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় সিঁদুরে মেঘ

পিছু হটছে থোয়েটস: পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায় সিঁদুরে মেঘ

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা যতই বাড়ছে, গলতে থাকা হিমবাহের জলে বাড়ছে সমুদ্রতলের উচ্চতাও। সুবৃহৎ থোয়েটস হিমবাহ অবস্থিত পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকায়। সাগরের জল এক থেকে তিন মিটার বাড়িয়ে দিতে পারে এই গ্লেসিয়ার। দুঃখের বিষয় – এই হিমবাহটাও গলছে খুব দ্রুত বেগে।

মার্কিন, ব্রিটিশ ও সুইডেনের বিজ্ঞানীদের নিয়ে তৈরি একটা গবেষক দল ঢু মেরেছিল থোয়েটসের তলদেশে। রান নামের এক রোবোটিক গাড়িতে চেপেই হিমবাহের ৭০০ মিটার নিচে সমুদ্রের তলায় পৌঁছে যান বিজ্ঞানীরা। ঐ অংশ থেকেই গ্লেসিয়ারের গতিবিধি খুঁটিয়ে বোঝা যায়। অভিযানটা ছিল কুড়ি ঘণ্টার।

থোয়েটসের পাতালে আশ্চর্য এক ছবি তুলতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তা থেকে বোঝা যাচ্ছে এর আগেও এই হিমবাহ অনেক বার আকারে বেড়েছে কমেছে। এখন যে হারে ওটা সংকুচিত হচ্ছে, এ রেকর্ড নাকি আগেও হয়েছে।

গটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্র বিশারদ আনা ওয়াহ্লিন। থোয়েটসের গভীরে রান নামক রোবটে চড়ে অভিযানের পরিকল্পনাটা ওনারই ছিল। কোন কোন নতুন খোঁজ পাওয়া গেছে, উনি জানিয়েছেন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে ১৬০টা লম্বালম্বি দাগ পাশাপাশি। প্রতিদিনই জোয়ার ভাটার প্রভাবে পিছু হটে, আবার অগ্রসর হয়। এই ওঠানামার জন্যেই হিমবাহের সামনের অংশটার সাথে সংঘর্ষে তৈরি হয়েছে দাগগুলো। শেষ দুটো শতক জুড়েই বছরে প্রায় দু কিলোমিটার করে পিছিয়ে গেছে ওই গ্লেসিয়ার। যা এখনকার তুলনায় দ্বিগুণ।

ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভের ভূ-পদার্থবিদ রবার্ট লার্টার। ইনি এই গবেষণার সাথে যুক্ত ছিলেন। ওনার মতে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই খুব বড় কোনও পটপরিবর্তন ঘটতেই পারে থোয়েটসে। সেটা ভয়াবহ কোনও বিপদের ইঙ্গিতবাহী হতেই পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − 2 =