পুরনো রোগের নতুন চিকিৎসা – গাউট বা গেঁটেবাত

পুরনো রোগের নতুন চিকিৎসা – গাউট বা গেঁটেবাত

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৫ এপ্রিল, ২০২৩

অনেক মার্কিন নাগরিক মনে করেন, গাউট রোগের দিন চলে গেছে। যেমনটা ঘটেছে রিকেট বা স্কার্ভি রোগের ক্ষেত্রে। মূলত রাজকীয় ধনী মানুষজনেরই নাকি গেঁটেবাত হয় বা হত। তালিকায় বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বা থমাস জেফারসন আছেন।
এটা সত্যি যে গেঁটেবাত একটা প্রাচীন রোগ। আনুমানিক খৃস্টপূর্ব ২৬৪০-তে মিশরে সর্বপ্রথম গাউটের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। কিন্তু এই আধুনিক যুগেই গেঁটেবাত ছড়িয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশি। মার্কিন মুলুকে পূর্ণবয়স্কদের মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ মানুষ এই রোগের শিকার। সংখ্যার হিসেবে বললে ১০ মিলিয়নের বেশি।
আরথ্রাইটিস অ্যান্ড রিউম্যাটোলজি পত্রিকায় পয়লা ডিসেম্বর একটা গবেষণার খবর বেরিয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের স্কুল অফ মেডিসিন পরিচালিত, আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটা দল একটা নতুন আণবিক পথ খুঁজে পেয়েছেন। এই রাস্তা ধরেই শরীরে গেঁটেবাতের জন্ম আর সেটা ছড়িয়েও পড়ে। অস্থিসন্ধি বা জয়েন্টে একপ্রকার তরল পদার্থ থাকে। এই তরলের মধ্যে লুব্রিসিন নামের এক প্রোটিন উপস্থিত। এই প্রোটিনকে লক্ষ্য করে চিকিৎসা করা গেলে রোগের প্রতিরোধ ও উপশম হবে।
রক্তের শ্বেত কণিকার মাধ্যমে ইউরেট আর জ্যান্থিন অক্সিডেজের ক্ষরণ কমিয়ে দেয় লুব্রিসিন প্রোটিন। এমনকি ইউরেটকে অস্থিসন্ধিতে জমাট বাঁধতে দেয় না। গবেষকরা গাউটে ভোগা রোগীদের পরীক্ষা করে দেখেছেন, তাদের শরীরে লুব্রিসিনের পরিমাণ বেশ কম।