পৃথিবীর আকাশে বিরাট বড়ো গ্রহাণু ধেয়ে এসেছিল

পৃথিবীর আকাশে বিরাট বড়ো গ্রহাণু ধেয়ে এসেছিল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা অনুসারে, একটি বিমানের আকারের গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল, এবং মঙ্গলবার , ১২ই সেপ্টেম্বর আমাদের গ্রহের নিকটতম দূরত্ব দিয়ে গেছে। 2023 RO1 নামের ৬৮-ফুটের এই মহাকাশীয় বস্তু এই সময়ে পৃথিবী থেকে 2.5 মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে ছিল। এটা নিয়ার আর্থ অবজেক্টের অ্যাপোলো গ্রুপের অন্তর্গত। নাসা একটা গ্রহাণু ড্যাশবোর্ড চালু করেছে যা পৃথিবীর তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি আসা গ্রহাণু এবং ধূমকেতুগুলো ট্র্যাকম করবে এবং তাদের তালিকাভুক্ত করছে। 2023 RO1 নামে এই গ্রহাণু ঘণ্টায় ৪৪,৬৭১ কিলোমিটার বেগে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে চলছে। 1863 অ্যাপোলো গ্রহাণুর নামানুসারে এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল রেইনমুথ ৯৩০-এর দশকে অ্যাপেলো গ্রহাণু আবিষ্কার করেছিলেন। 2023 RO1 এর আগেও পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেছে, কিন্তু নাসা – র তথ্য অনুসারে এ বছর এই গ্রহাণু আমাদের গ্রহের সবচেয়ে নিকট দিয়ে যাচ্ছে। এই গ্রহাণুটি আবার ২০ শে মার্চ, ২০২৯ -এ পৃথিবীর নিকটে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পৃথিবীর আশেপাশে নানা আকারের প্রায় ৩০০০০ গ্রহাণু, যার মধ্যে ৮৫০ টা এক কিলোমিটারের চেয়েও বেশি তাদের সকলকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এদের নামকরণ করা হয়েছে “নিয়ার আর্থ অবজেক্টস” (NEOs)। তবে নাসা জানয়েছে এদের মধ্যে কেউই পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক নয়। নাসার মতে, আমাদের সৌরজগতের গঠনের সময় থেকে গ্রহাণুগুলো অবশিষ্ট অংশ হিসেবে পড়ে আছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে গ্যাস এবং ধুলোর একটি বড়ো মেঘ ভেঙে গিয়ে আমাদের সৌরজগত তৈরি হয়েছিল । যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, বেশিরভাগ উপাদান মেঘের কেন্দ্রে গিয়ে পড়েছিল এবং সূর্য তৈরি হয়েছিল। মেঘের কিছু ধূলিকণা ঘনীভূত হয়ে গ্রহে পরিণত হয়েছিল।
যদিও এই ধরনের গ্রহাণু বা ধূমকেতুর নিকটে আসা কোনও আসন্ন বিপদ ডেকে আনে না, তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য আমাদের মহাবিশ্বের নানা বিস্ময় অধ্যয়ন এবং বোঝার এগুলো মূল্যবান সুযোগ।