লিস্কোপ নিয়ে আকাশের দিকে আর তাকানো যাবে না! চোখ রাখলেই নজরে আসবে শুধু সারি সারি প্রাইভেট উপগ্রহ! স্পেস এক্স থেকে শুরু করে আমাজন– অজস্র বেসরকারি সংস্থা পৃথিবীর নীচের কক্ষে তাদের ব্যাক্তিগত উপগ্রহ পাঠিয়েছে। ২০১৯-এর পর থেকে হিসেব করলে অন্তত ১০০টি বেসরকারি উপগ্রহ পৃথিবীর নীচের কক্ষে ঘুরছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আশঙ্কিত। উপগ্রহদের এই নক্ষত্রপুঞ্জের ধাক্কায় জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁদের পক্ষে টেলিস্কোপে চোখ রেখে মহাকাশকে দেখা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে! কানাডার রেগিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জ্যোর্তিবিজ্ঞানী সামান্থা ললারের দুশ্চিন্তা, “আমরা টেলিস্কোপে চোখ রেখে মহাকাশে গ্রহ নক্ষত্রদের প্যাটার্ন দেখি, বোঝার চেষ্টা করি তাদের মুভমেন্ট, আচরণ। এবারও আমরা মহাকাশে প্যাটার্ন দেখব, কিন্তু সেটা মানুষের তৈরি উপগ্রহদের প্যাটার্ন। তারাদের চেয়ে মহাকাশে এখন কৃত্রিম উপগ্রহের সংখ্যা বেশি! মানবসভ্যতার ইতিহাসেও এরকম ঘটনা হয়ত প্রথমবার।” এই মুহুর্তে পৃথিবীর নীচের কক্ষে রয়েছে ৭৮৯০টি কৃত্রিম উপগ্রহ! অথচ গতবছর অগষ্টেই ছিল ২৮৯০টি উপগ্রহ! আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশনের দেওয়া তথ্য হিসেব করে অনুমান করা যাচ্ছে আগামী কয়েকবছরে পৃথিবীর নিচের কক্ষে থাকতে পারে প্রায় ৬৫ হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ! তখন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পক্ষে মহাকাশের খবর দেওয়া হয়ত অসম্ভব হয়ে উঠবে। মানুষই আবার ধ্বংসের কারণ হবে মানুষের!