পৃথিবীর নিকটতম কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হল

পৃথিবীর নিকটতম কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কৃত হল

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ৬ মার্চ, ২০২৩

আমাদের দুনিয়া থেকে মাত্র ১৫৬০ আলোকবর্ষ দূর। সদ্য আবিষ্কৃত ব্ল্যাকহোলকে পৃথিবীর নিকটতম বলে ব্যাখ্যা করছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। নাম গাইয়া বিএইচ১ দেওয়া হল। সূর্যের চেয়ে ওজনে দশগুণ বেশি ভারী এই ব্ল্যাকহোল।
মহাকাশ গবেষক কারিম এল-বাদ্রি ও তাঁর সহকর্মীরা গাইয়া মহাকাশযানের সংগ্রহ করা তথ্য প্রকাশ করেছেন। এই স্পেসক্রাফট কোটি কোটি নক্ষত্রের সঠিক অবস্থান চিহ্নিত করে থাকে। কোনও নক্ষত্র যখন একটা নির্দিষ্ট নিরাপদ দূরত্বে থেকে কৃষ্ণগহ্বরকে প্রদক্ষিণ করে তখন গ্রাস হওয়ার ভয় থাকে না। কিন্তু ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষ বল এতটাই শক্তিশালী যে ক্রমে ঐ নক্ষত্র প্রবলভাবে আকর্ষিত হয়। সেই তারাদের গতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি টের পান।
এল-বাদ্রি ও তাঁর গবেষক দল গত সপ্তাহে রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির মাসিক নোটিসে প্রকাশ করেছে তাঁদের এই বিশেষ প্রতিবেদন।
গাইয়া বিএইচ১ এর পর সবচেয়ে কাছের ব্ল্যাকহোল পৃথিবী থেকে ৩২০০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। কিন্তু এমনও হতে পারে নতুন আবিষ্কৃত এই কৃষ্ণগহ্বর আসলে হয়তো নিকটতম নয়। মহাকাশবিজ্ঞানীদের অনুমান কেবলমাত্র আকাশগঙ্গা ছায়াপথেই মোটামুটি ১০০ মিলিয়ন ছোটবড়ো কৃষ্ণগহ্বর আছে। কিন্তু তাদের মধ্যে বেশিরভাগই অদৃশ্য, অর্থাৎ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কেমব্রিজে হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের এল-বাদ্রি বলছেন, সেসব কৃষ্ণগহ্বর বড়ই বিচ্ছিন্ন, তাই তাদের দেখা যায় না।
গাইয়া স্পেসক্রাফটের পরবর্তী তথ্য এসে পৌঁছবে ২০২৫ সালে। মুখ্য গবেষক এল-বাদ্রি মনে করছেন আরও কিছু ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে অনেক নতুন খবর মিলবে। ওনার মতে, আরও অনেক কৃষ্ণগহ্বরই হয়তো কাছাকাছিই আছে। একটার খোঁজ মিলেছে মানে আরও অনেকগুলোর খোঁজ পাওয়া যেতে পারে ভবিষ্যতে।