পৃথিবীর নিচু কক্ষপথে উড়ন্ত চাকতি! নেপথ্যে নাসা

পৃথিবীর নিচু কক্ষপথে উড়ন্ত চাকতি! নেপথ্যে নাসা

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ১৬ নভেম্বর, ২০২২

LOFTID – লো আর্থ অরবিট ফ্লাইট টেস্ট অফ অ্যান ইনফ্লেটেবেল ডিসেলেটর। নাসার নতুন এই যন্ত্রের উৎক্ষেপণ, প্রয়োগ করা হল গত ১০ই নভেম্বর। এটা একপ্রকার তাপরোধী বর্মের মতো যন্ত্র। মহাকাশচারীদের মঙ্গলগ্রহে প্রেরণ করতে এটা সাহায্য করবে।
মহাকাশ অভিযানের সবচেয়ে জটিল দিকটা হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশ করতে পারা। যখন মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে ফেরত আসে অথবা অন্য কোনও গ্রহে/উপগ্রহে যাত্রা করে তখন বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যখন মহাকাশযান পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে তখন সেটার বেগ থাকে সেকেন্ডে ৭ কিলোমিটার। অথবা ঘণ্টায় ৩০০০০ কিলোমিটার। এই উচ্চবেগে প্রচুর পরিমাণে ঘর্ষণ তৈরি হয় বায়ুস্তরের বিভিন্ন কণিকার সাথে। দোসর হয় শকওয়েভ। শব্দের বেগের তুলনায় প্রায় ৩০গুন বেশি গতির কারণে এই দুই প্রভাবে ব্যাপক তাপশক্তির জন্ম হয়। ফলে মহাকাশযানের বাইরের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা পৌঁছতে পারে ১৫০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের কাছাকাছি।
কিন্তু আবার উৎপন্ন ঘর্ষণ বলের প্রভাবেই কিন্তু মহাকাশযানের বেগ নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে, ফলে নিরাপদ অবতরণ সম্ভব হয়।
LOFTID এর কেরমাতি সেখানেই। মহাকাশযান, যন্ত্রপাতি আর ভেতরে থাকা মহাকাশচারীদের সুরক্ষিত রাখাটা বিজ্ঞানীদের কাছে ছিল একটা চ্যালেঞ্জ। নাসার নতুন এই যন্ত্র এইসব চরম তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করবে মহাকাশযানকে। সাথে সাথে যানের গতিবেগ কমিয়ে বায়ুস্তরের মধ্য দিয়ে নিরাপদে নিয়ে আসবে সেটাকে।