পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রাক-মুহুর্তে খোঁজ গ্রহাণুর

পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রাক-মুহুর্তে খোঁজ গ্রহাণুর

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৫ মার্চ, ২০২২

গত ১১ মার্চ মহাকাশে রীতিমত একটা উত্তেজক সিনেমা হয়ে গেল! সেদিন বিকেল থেকে বুদাপেস্টের কাছে পিসকেসটেটো পর্বতমালার ওপর কোঙ্কোলি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে বসেছিলেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ক্রিষ্টিয়ান সারনেকি। আকাশের তারা দেখছিলেন। যে সে জ্যোর্তিবিজ্ঞানী নন সারনেকি। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর খুব কাছে থাকা ৬৩টি গ্রহাণু আবিষ্কারের বিরল কৃতিত্ব তার ঝুলিতেই রয়েছে। তাতেও খুশি নন সারনেকি। যদি ৬৪ নম্বর গ্রহাণু কোনওদিন দেখা যায়, এই লক্ষ্যে প্রত্যেকদিন তিনি টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে বসেন। ১১ মার্চ সারনেকির চোখে পড়ে যায় সেরকমই একটি গ্রহাণু, তার জীবনের ৬৪ নম্বর। বলেছেন, “প্রথমে গ্রহাণুটা অস্পষ্ট ছিল। নড়াচড়াও ছিল স্লথ। আধ ঘন্টার মধ্যে পুরো ছবিটা বদলে যায়। দেখলাম প্রচণ্ড গতিতে গ্রহাণুটা ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে!” প্রাথমিক উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও শেষপর্যন্ত নাটকীয়তা তৈরি হয়নি কারণ সারনেকির পর্যবেক্ষণে গ্রহাণুটা ছিল মাত্র ৬ ফুটের। পৃথিবীর কোনও ক্ষতি সেই গ্রহাণুর দ্বারা হওয়ার কথা ছিল না। তবু, সারনেকি উল্লসিত একটাই কারণে যে, তার আবিষ্কৃত ৬৪ নম্বর গ্রহাণুটা তিনি দেখেছেন পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের প্রাক-মুহুর্তে! এখনও পর্যন্ত এরকম অবস্থায় কোনও গ্রহাণুকে আবিষ্কার করা-পাঁচ বার হল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + 5 =