১৭৫৬ কোটি ৬ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকার ফান্ড! তৈরি করেছে চিন। লক্ষ্য প্রকৃতিকে বাঁচানো। বিশ্ব উষ্ণায়নের অজস্র কুপ্রভাব প্রকৃতির ওপর। দাবানল, তাপপ্রবাহের তীব্রতা, ভয়ঙ্কর খরা, অতিবৃষ্টি হয়ে বন্যা, শীতলতম অঞ্চলেরও উষ্ণ হয়ে যাওয়া, গ্লেসিয়ার থকে বরফ গলে সমুদ্রের স্তর বৃদ্ধি। পৃথিবীকে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর করার কাজ মানুষেরই। আর অবিরাম চলতে থাকা এই ক্ষতিগুলোর সঙ্গে রয়েছে মানুষেরই আর একটি কাজ। প্রকৃতিকে ধ্বংস করার নিঃশব্দ কাজ। জঙ্গল ধ্বংস করা থেকে শুরু করে প্রাণী, বিরল প্রজাতির প্রাণী নিধন, উদ্ভিদ মেরে ফেলা- অর্থকরী লাভ বা উন্নতির জন্য প্রতি মুহুর্তে মানুষের সৃষ্টি করা এই ধ্বংসলীলায় ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি। পৃথিবীর রাষ্ট্রনায়করা একটু নড়েচড়ে বসেছেন! ধ্বংস আর বাড়তে দেওয়া উচিত হবে না! তাহলে তো একদিন ধ্বংসের আঁচ তাদের গায়েই পড়বে! তাই হয়ত এমাসের শেষে গ্লাসগোয় ক্লাইমেট সামিট। তাই হয়ত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ টাকা জোগাড়ের চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে! উষ্ণায়ন রুখতে বায়ো-ডাইভারসিটি ফিরিয়ে আনতে হবে, বাতাসকে দূষনমুক্ত করতে হবে।
চিনের এই আর্থিক ভাণ্ডার সৃষ্টির পেছনেও কারণটা হয়ত এটাই। যদিও এই সপ্তাহে কুনমিং-এ বায়ো-ডাইভারসিটি সামিটে চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিমপিং ঘটা করে ১৭৫৬ কোটি টাকার ফান্ডের ঘোষণা করার সময় উপস্থিত সাংবাদিককূল তাকে মনে করিয়ে দিতে করতে পারেনি যে, পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডার বাড়ানোর জন্য বরাদ্দ অর্থের তুলনায় এই টাকাটা কিছুই নয়!
তবু তো হল! জিমপিং বলেছেন, “এই টাকার অধিকাংশ খরচ করার লক্ষ্য থাকবে তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য। ওরা যাতে ওদের প্রাকৃতিক সম্পদকে আরও ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে তারই জন্য মূলত ফাণ্ড তৈরি করা হয়েছে।”
এছাড়াও দেশে একটি জাতীয় উদ্যান তৈরি করা হচ্ছে। ৮৮ হাজার ৮০০ বর্গমাইল জুড়ে! বিরল প্রজাতির প্রাণী সহ সমস্ত রকমের প্রাণীদের সেখানে রাখা হবে, সংরক্ষণ করা হবে। গ্লাসগো যাওয়ার আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় কমিশনের যৌথ উদ্যোগে আর্থিক ফান্ড সৃষ্টির আগেই চিনের এই ঘোষণাকে ঘিরে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্লাইমেট সামিট নিয়েও রাজনীতির খেলা শুরু হয়ে গেল!