গত আগস্টে রাষ্ট্রপুঞ্জের ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) -এর একটি খসড়া রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্টে উষ্ণায়নের দরুন কীভাবে দ্রুত বদলে যাচ্ছে জলবায়ু তা সবিস্তারে জানানো হয়েছিলো। আরো জানানো হয়েছিলো ২১০০ সালে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৮৫০-১৯০০ সালের চাইতে ২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। সম্প্রতি গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে এই মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বেঁধে রাখার কথা উঠে এসেছে। চমকের কথা এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এই মাত্রা বেড়েছে ১.২৪ ডিগ্রি। এই বিপুল হারে তাপমাত্রার বৃদ্ধি দাবনলের মতো ঘটনা ঘটাবে আকছারই। এবার আইপিসিসি র আগস্টের খসড়া রিপোর্টের সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ‘গ্লোবাল কার্বন প্রোজেক্ট’ নামের একটি সংস্থা বানিয়েছে ‘জলবায়ু ঘড়ি’। এই ঘড়ি প্রতি সেকেণ্ডে আপডেট দেবে কী পরিমাণে বাতাসে বাড়ছে বিষের বোঝা। আরো জানা যাবে প্রাক শিল্প যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে আর ঠিক কতদিন সময় নেবে পৃথিবী। এই জলবায়ু ঘড়ির রিডিং বলে দেবে ঠিক কত বছর কত দিন কত ঘন্টা কত মিনিটে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা শিল্প যুগের চেয়ে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে যাবে। যেমন ঐ ঘড়ির বর্তমান রিডিং বলছে আর মাত্র ১০ বছর ৫ মাসের মধ্যেই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে। অর্থাৎ ২০৩২ এর মার্চ মাস। এই ঘড়ি তৈরির ফলে আর রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। ঐ ঘড়িই আপডেট দেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির। জানাবে শিয়র থেকে ঠিক কত দূরে রয়েছে শমন।