প্রবল তাপপ্রবাহে শুকিয়ে যাচ্ছে টেমস নদী!

প্রবল তাপপ্রবাহে শুকিয়ে যাচ্ছে টেমস নদী!

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা।
Posted on ১৬ আগষ্ট, ২০২২

ব্রিটেনজুড়ে ফের তাপপ্রবাহ। লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। গত শুক্র-শনিবার তাপমাত্রা বেড়ে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে! ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে অ্যা ম্বার সতর্কতা (লালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা)। এরকম প্রবল ও শুকনো তাপপ্রবাহ এর আগে দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬-এ। যদিও তখন তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়েনি। ইংল্যান্ডের মধ্য, দক্ষিণ অঞ্চলকে ইতিমধ্যে খরাকবলিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আর এর ধাক্কায় আরও এক প্রবল উদ্বগজনক খবর যে, ঐতিহ্যের টেমস নদী তার রূপ হারাতে শুরু করেছে! তার উৎসমুখ অনেকটা শুকিয়ে গিয়েছে। হাওয়া অফিস সূত্রে জানানো হয়েছে, ব্রিটেনে এই প্রথম গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পেরিয়ে গিয়েছে। এই পর্বে ইতিমধ্যেই দু’টি উষ্ণতম দিন নথিবদ্ধ হয়েছে। ১৯৬০-এ ইংল্যান্ড দেখেছিল খরার প্রকোপ। বস্তুত, আবহাওয়া বিভাগ আগামী দিনগুলির জন্য্ খুব একটা আশার খবর শোনাতে পারেনি। তারা জানিয়েছে, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। যার প্রতিফলন, টেমস নদীও অচিরেই শুকিয়ে যেতে পারে! অ্যাস্টন কেনসের কাছে টেমসের উৎসমুখ পুরো শুকিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ টেমস বয়ে গিয়েছে লন্ডন-সহ গোটা দক্ষিণ ইংল্যান্ড জুড়ে। টেমসের উৎস প্রতি বছর গ্রীষ্মেই কিছুটা শুকিয়ে যায়। তবে এ বছর আগের বছরগুলির তুলনায় অনেকটাই বেশি শুকিয়ে গিয়েছে এই নদী। রিভার্স ট্রাস্ট-এর পলিসি অ্যান্ড সায়েন্স ডিরেক্টর রব কলিন্স জানিয়েছেন, তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে গ্লস্টারশায়ারের কাছে টেমসের উৎসমুখ শুকিয়ে গিয়েছে। নদীর স্রোতও ক্রমে দুর্বল হচ্ছে।