প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে যে শব্দ ৮ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করছে

প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে যে শব্দ ৮ বছর যাবৎ বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

১৯৯৭ -এর গরমের সময়, চিলির দক্ষিণ উপকূলের পশ্চিম দিক থেকে একটা তীব্র শব্দ বিজ্ঞানীরা রেকর্ড করেন। তাদের কাছে এটার আওয়াজ “ব্লুপ” হিসেবে ধরা পড়ে। সমুদ্রের নীচের আগ্নেয়গিরির খোঁজ করার সময়, ন্যাশানাল ওশানিক এন্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশান তীব্র, অতি নীচু কম্পাঙ্কের এই শব্দ হাইড্রোফোনে রেকর্ড করেন। আমেরিকান নৌবাহিনী প্রশান্ত মহাসাগরের ২০০০ মাইল দূরে জলের নীচের এই মাইক্রোফোন তৈরি করেছিল।
আজ পর্যন্ত জলের নীচে যত শব্দ রেকর্ড করা গেছে, এই শব্দটা তাদের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র আর তা প্রায় ১ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।
এই শব্দের উৎস কী তা বোঝা যায় নি, কেউ মনে করেন মিলিটারিদের বিভিন্ন কাজের ফলে, এই শব্দটা এসেছে, আবার কেউ ভাবেন, দৈত্যাকার স্কুইড, নীল তিমি, বা কোনো অজানা সামুদ্রিক প্রাণীর শব্দও হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় মানুষ সমুদ্রের ৮০% – এর বেশি এখনো জানতে পারেনি। তাই NOAA-এর প্যাসিফিক মেরিন এনভায়রনমেন্টাল ল্যাবের অ্যাকোস্টিক মনিটরিং প্রজেক্টের প্রধান বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার ফক্স বলেছেন, তারা প্রাণী সহ প্রতিটি সম্ভাবনাই বিবেচনা করে দেখেছেন।
তবে সরকারী সূত্রে বলা হয়েছে, এই শব্দটা অ্যান্টার্কটিক হিমবাহ থেকে বরফে ফাটল ধরে ভেঙ্গে পড়ার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল। বরফ ভাঙার বা তাতে ফাটল ধরার শব্দ কুমেরু মহাসাগরে পাওয়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক শব্দের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × one =