প্রাইমেটদের মগজের সামান্য ফারাকই পার্থক্য গড়ে দেয়

প্রাইমেটদের মগজের সামান্য ফারাকই পার্থক্য গড়ে দেয়

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ৯ নভেম্বর, ২০২২

মানুষের মস্তিষ্কের আণবিক পার্থক্যগুলো বুঝতে পারলে পরিষ্কার হবে আমাদের মস্তিষ্ক বিবর্তনের পথে ঠিক কোন কোন পর্যায় অতিক্রম করে এসেছে। সায়েন্স পত্রিকায় সম্প্রতি এক গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে। উইস্কন্সিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক আন্দ্রে সউসা মগজের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স নামক অংশের কোষের মধ্যে সাদৃশ্য আর ফারাক পরীক্ষা করে দেখেছেন।
মস্তিষ্কের এই প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স অঞ্চলটা উচ্চস্তরের বৌদ্ধিক ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটা মস্তিষ্কের সবচেয়ে সামনের অংশও বটে। প্রোফেসর সাউসার নেতৃত্বে গবেষক দলটা মানুষ ছাড়াও শিম্পাঞ্জি, রিসাস ম্যাকাও আর মার্মোসেট বানরের প্রজাতিকে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। প্রায় ৬০০০০ কোষের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বিভিন্ন প্রজাতির বানরের মগজের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স অঞ্চল থেকে।
সাউসা বলছেন, বেশিরভাগ কোষের আসলে একইরকম কারণ বিবর্তনের নিরিখে এই প্রজাতিগুলো খুবই নিকটের বলা চলে।
কিন্তু সাউসা ও তাঁর সহকর্মীরা এমন পাঁচটা কোষের নমুনা খুঁজে পেয়েছেন যা ঐ চারটে প্রজাতির সবার মস্তিষ্কে ছিল না। বিভিন্ন ধরনের কোষের সংখ্যাও প্রজাতির সাথে সাথে পাল্টে গেছে, এমনটাই দেখেছেন ওনারা। একই ধরনের কোষ ভিন্ন প্রজাতির ক্ষেত্রে ভিন্ন বৈচিত্র্যের। যেমন শিম্পাঞ্জির সাথে মানুষের মগজের তুলনা করলে দুটোর মধ্যে বিস্তর ফারাক। কিন্তু কোষের ক্ষেত্রে বা জেনেটিক স্তরে কিন্তু এই পার্থক্য বিশেষ নেই।