পৃথিবীর প্রাচীনতম বৃহদাকৃতির জীবাশ্মাবস্থার শুক্রাণুর সন্ধান মিলেছে মায়ানমারের উত্তরাংশে। জীবাশ্মাবস্থার শুক্রাণু অ্যামবারের মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় দ্রবীভূত হয়ে ছিল। জানা গেছে এই শুক্রাণু প্রায় ১০ কোটি বছর আগে ক্রিটেসাস যুগের। ১১.৮ মিলিমিটারের শুক্রাণুগুলি আসলে অস্ট্রাকড নামের এক অতিক্ষুদ্র জীবের। অবাক করা বিষয় হল, এই অস্ট্রাকডের আয়তন শুক্রাণুর চেয়ে কম, অস্ট্রাকড, যার চলতি নামে শিড শ্রিম্প(ছোটো চিংড়ি বীজাবস্থায় থাকলে যেমন হবে তেমন) আয়তনে মাত্র ১ ইঞ্চির ১০ ভাগের এক ভাগ। ওই শুক্রাণু আসলে কাঁকড়ার দাঁড়ার মতো দেহের খোলা একটি দিক দিয়ে বেরিয়ে থাকে।
‘চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স’এর গবেষক হি ওয়াং মায়ানমারের উত্তরাংশে একটি খনি খাদান থেকে পাওয়া অ্যাম্বারের মধ্যেই দ্রবীভূত অবস্থায় পেয়েছেন এই শুক্রাণুর খোঁজ। ওয়াং ৩৯টি অস্ট্রাকডের খোঁজ পেয়েছেন। বর্তমানে পৃথিবীতে হাজার প্রজাতির অস্ট্রাকড থাকলেও ওয়াং প্রাপ্ত ওস্ট্রাকডের ৩১টি প্রজাতিই আজ বিলুপ্ত এবং এর আগে বিজ্ঞান সন্ধান পায়নি ওই প্রজাতিগুলির। বিলুপ্ত প্রজাতির ৩১ টি অস্ট্রাকডের নাম দেওয়া হয়েছে মায়ানমারক্রিপ্স হুই। আরো চমকের খবর এই যে, এদের মধ্যে একটি প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রী লিঙ্গযুক্ত মায়ানমারক্রিপ্স হুই(যা আসলে জীবাশ্ম) এর গর্ভের আধারে ছিল চারটি ডিম। যা কোমল টিস্যুগুলির দ্বারা সংরক্ষিত হয়েছে।
এর আগে এন্টার্কটিকায় প্রাপ্ত রেশমের গুটির মধ্যে পাওয়া শুক্রাণু জীবাশ্মকেই পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবাশ্মবস্থার শুক্রাণু হিসেবে মান্যতা দেওয়া হত। এটি ছিল ৫ কোটি বছরের প্রাচীন। এর আগে অস্ট্রাকডের এক জীবাশ্ম শুক্রাণু পাওয়া গিয়েছিল যা ১.৭ কোটি বছরের প্রাচীন। এবারে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গেল।