একদিন সেইসব সাগরে ছিল বড়ো বড়ো বর্মী মাছ, অ্যামোনয়েড, বৃহৎ সামুদ্রিক বিছে আর ট্রাইলোবাইটের অবাধ ঘোরাফেরা। তারপর সেসব সমুদ্র শুকিয়ে পৃথিবীতে অন্য সব গঠন তৈরি হয়ে গেছে।
নিউ ইয়র্কের কাছাকাছি আয়রন পাইরাইট পাথরে প্রাচীন এই সমুদ্রের জলের বুদবুদ আটকে ছিল। কিন্তু গবেষকদের আসল উদ্দেশ্য ছিল কীভাবে পাথরের ভেতর থেকে বিষাক্ত আর্সেনিক চুইয়ে পড়ে। যদিও সবচেয়ে পুরনো জলের নমুনা এটা নয়, তবু প্রাচীন কোনও সমুদ্রের এতও ক্ষুদ্র অবশেষ আগে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ভূ-রসায়নবিদ স্যান্ড্রা টেলর বলছেন, প্রথমে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের নীচে রেখে প্রথমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তখনই এই মিনি বাবেল বা ছোট বুদবুদগুলো নজরে আসে। কিন্তু বোঝা যায়নি তখন এগুলো ঠিক কী।
আজ থেকে ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে ডেভোনিয়ান যুগের মাঝামাঝি ঐ প্রাচীন সাগরের অস্তিত্ব ছিল। আজকের মিচিগান থেকে ক্যানাডার অন্টারিও অবধি বিস্তৃত ছিল সেই সাগর।
আর্থ অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্স লেটারস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র।