প্রাণীদের এতও অবিশ্বাস্য রঙ, তাদের গুরুত্বও বিভিন্ন

প্রাণীদের এতও অবিশ্বাস্য রঙ, তাদের গুরুত্বও বিভিন্ন

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা‌
Posted on ২৪ অক্টোবর, ২০২২

নর্দার্ন কার্ডিনাল পাখির গায়ে উজ্জল ক্রিমসন লাল রঙ। সেটা সম্ভাব্য সঙ্গিনীকে কাছে টানার ফিকির। আবার ঐ রকমের লাল রঙ স্ট্রবেরি পয়জন-ডার্ট নামের ব্যাঙের চামড়াতেও থাকে। শত্রুকে সাবধান করতে ঐ রঙের গুরুত্ব।
ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী জাকারি এম্বার্টস আর অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন উইয়েন্সের যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি এক গবেষণা হয়েছে ১৮২৪টা প্রজাতির স্থলচর মেরুদণ্ডী প্রাণীকে নিয়ে। তাদের গায়ের রঙ আর সেই রঙের বিশেষ দুটো গুরুত্বকে নিয়ে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। একটা, প্রজননের সময় সঙ্গী/সঙ্গিনীকে কাছে ডাকা আর দুই, শত্রুকে দূরে ঠেলে দেওয়া।
এম্বার্টস বলছেন, প্রাণীর গায়ে বিচিত্র রঙের পেছনে বিবর্তনের ইতিহাস অবশ্যই আছে। উইয়েন্সের মতে, রঙের উৎপত্তি যেভাবেই হয়ে থাক না কেন সেগুলো নির্দিষ্ট নকশা মেনেই কাজ করে। বর্ণ বিশ্লেষণের মধ্যে লাল, কমলা, হলুদ, বেগুনি আর নীল রঙ ছিল। নীল ছাড়া বাকি সব রঙকেই মোটামুটি সমানভাবে ভাগ করা গেছে দুটো বিভাগে – এক, যৌনসংকেত আর দুই, সাবধান করার প্রতীক হিসেবে। কেবল নীল রঙের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কেবলই যৌনসঙ্গীকে আকর্ষণ করার তাগিদে।
উইয়েন্স গবেষণার অন্য একটা দিকে নজর টানছেন। শত্রুকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য এমন অনেক প্রজাতির গায়ের রঙ বিবর্তিত হয়েছে যাদের কিনা চোখই নেই। বেশিরভাগ সাপ অথবা উভচর প্রাণীরা দেখতে পায় কিনা আদৌ, তা নিয়ে কিন্তু বিতর্ক আছে। ফলে এইসব প্রাণীর উজ্জ্বল রঙ আসলে শত্রু খাদক প্রাণীকে সাবধান করার জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ। এভোলিউশান নামের পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাটা।