বস্টনের শিশু হাসপাতালের বিজ্ঞানীরা এক নতুন কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। যেটা প্রোটিন সমৃদ্ধ। এর তাৎপর্য যে এই ভ্যাকসিন রেফ্রিজারেটরে রাখার প্রয়োজন নেই! বর্তমানে পৃথিবী জুড়ে কোভিডের যে টিকা দেওয়া হচ্ছে তার প্রত্যেকটি রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই কারণে এই টীকাগুলিকে দ্রুত বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষত অনুন্নত দেশগুলিতে। বস্টন শিশু হাসপাতালের বিজ্ঞানীদের এই গবেষণা ও আবিষ্কার নিয়ে লেখা প্রকাশিত হয়েছে পিএনএস জার্নালে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রোটিন সমৃদ্ধ এই নতুন কোভিড টীকা পৃথিবী জুড়ে টীকা সরবরাহে যে ব্যবধান তৈরি করেছে সেটা পূরণ করবে এবং এই টীকা শুধু কোভিড নয়, অন্যান্য অসুখের প্রতিষেধক হিসেবেও কাজ করবে। বিজ্ঞানীরা এই টীকাকে ফ্রিজে শুকনো করে আবার নতুনভাবে তৈরি করে দেখেছেন, ঘরে যে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকে তাতেও টীকাটি সাতদিন অক্ষত থাকে, তার গুণ নষ্ট হচ্ছে না। বিজ্ঞানীদের আরও দাবি, যেহেতু এই টীকা সম্পূর্ণভাবে প্রোটিন নির্ভর, টীকাটি উৎপাদন করতেও উৎপাদককারী সংস্থার পক্ষে সমস্যা হবে না। এই টীকা তৈরি করা হয়েছে মূলত দ’টি উপাদানের সহায়তায়। ন্যানোবডি আর স্পাইক প্রোটিন। কোভিডে আক্রান্ত ইঁদুরের ওপর এই নতুন টীকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন চোখে পড়ার মত প্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি হয়েছে। গবেষকদের অন্যতম, থিবোল্ট হার্মান্দ বলেছেন, “জটিল প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা টীকা তৈরি করতে চাইনি। বরং এমন এক সহজ পদ্ধতিতে প্রতিষেধকটা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে যাতে এটা মানুষকে ভরসা দিতে পারে আর পৃথিবীর সমস্ত দেশের মানুষের কাছে এই টীকা পৌঁছে যেতে পারে।”